শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

ভারত-বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক স্কুল সভাপতি

নাটোর প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বৈত নাগরিক হয়েও নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার কালিগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কালীপ্রসন্ন সিকদার  নামে এক ব্যক্তি। আর এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাবিবুর রহমান মিঞা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী), নাটোর জেলা

নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৩১ মে অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে কালীপ্রসন্ন সিকদার নির্বাচিত হন। তিনি, তার একমাত্র সন্তান এবং ভাই ভারতীয় নাগরিক। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত কালীপ্রসন্ন সিকদার নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামের কার্তিক চন্দ্র সিকদারের ছেলে। তিনি একই সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ থানার সাহেবঘাটা এলাকার বাসিন্দা। সেখানে কালিয়াগঞ্জ থানার মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটার তালিকায়ও তার নাম রয়েছে।

ভারতের ভোটার তালিকা অনুযায়ী কালীপ্রসন্ন সিকদার, পিতা কার্তিক সিকদার, বাড়ি নম্বর- এন০৩৭৯, ৩৪ কালিয়াগঞ্জ তপসিলি জাতি হিসেবে ভোটার তালিকায় ১১৩৯ নম্বরে তার নাম রয়েছে। তার ভোটকেন্দ্র ১৯৩ সাহেবঘাটা এমএন হাইস্কুল। এ ছাড়া তার মেজো ভাই গৌড় সিকদার ও ছোট ভাই গৌতম সিকদার প্রায় ২০ বছর আগে ভারতে গেছেন। তারা ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর থানার পাশে ধলাহাটের ভোটার। সেখানে তিন ভাইয়ের ৩০ থেকে ৪০ বিঘা জমি, বসতবাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে। একমাত্র ছেলে প্রার্থপ্রতিম সিকদার আট বছর ধরে ভারতে বসবাস করছেন। তিনি বর্তমানে সেখানকার রায়গঞ্জ জেলা শহরের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিদ্যায় সম্মান শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছেন। কালীপ্রসন্ন সিকদারের পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই ভারতের নাগরিক। তিনিসহ তার  পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত ভারতে যাতায়াত করেন।   ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নির্বাচন  কর্মকর্তার ওয়েবসাইটে (http://ceowestbengal.nic.in) তাদের নাম ও ঠিকানা রয়েছে। এ বিষয়ে কালীপ্রসন্ন সিকদার বলেন, ‘আমি এবং আমার পরিবারের সব সদস্য শুধু বাংলাদেশি নাগরিক। ভারতে আমার কোনো নাগরিকত্ব নেই। কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যও নেই। একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

 

সর্বশেষ খবর