শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

স্বস্তি নেই মাছ চিনি ও চালে শীতের সবজির দামও চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বস্তি নেই মাছ চিনি ও চালে শীতের সবজির দামও চড়া

বাজার দর

সপ্তাহ না ঘুরতেই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়েছে বাজারে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের মতো শীতকালীন সবজির দামও এখন চড়া। ডিম-চিনিতেও নেই স্বস্তি। কমেনি মাছ-মাংস ও চালের দামও।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ে অনেক কৃষকের সবজি খেত নষ্ট হয়েছে। ফলে বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ কিছুটা কম, এ কারণে দাম চড়া। এদিকে চলতি সপ্তাহ থেকে বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ব্যবসীয়ারা। তবে এখনো নির্ধারিত দামের চেয়ে ২০-৩০ টাকা বেশিতে চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১১০-১২০ টাকায়। বাজারে মাছ-মাংস, সবজি, চালসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিন রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিচিঙ্গা, বেগুন, পটোল, ঢেঁড়স ও কাঁকরোলসহ সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে অন্তত ৫-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গতকাল বাজারে প্রতি কেজি পেঁপে ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০-২৫ টাকা। এ ছাড়া পটোল ৬০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০, ঢেঁড়স ৬০, শিম ১০০-১২০, টমেটো ও গাজর ১৪০, বরবটি ৯০-১০০, করলা ৬০-৬৫, ফুলকপি           প্রতি জোড়া ১৩০, বাঁধাকপি ৬০, লাউ ৫০-৭০, শসা ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, কাঁচা মরিচ ৮০-১০০, মুলা ৬০ টাকা ও চিচিঙ্গা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারে সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও খুচরা বিক্রেতারা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দাম বাড়ার অজুহাত দিয়ে বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে টানা বৃষ্টিতে অনেক কৃষকের খেতের ফসল নষ্ট হয়েছে। এর ফলে চাহিদার তুলনায় বাজারে সবজির জোগান অনেক কমেছে।

সবজির দাম বাড়লেও স্থিতিশীল আছে মাংসের বাজার। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০, পাকিস্তানি কক ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৩০-৫৫০ টাকায়, দেশি হাঁস ৪২০-৪৫০ কেজি আর কবুতর প্রতি জোড়া বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। বাজারে চালের দামও রয়েছে স্থিতিশীল। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৩-৭৫ টাকা, আটাশ ৫৫-৫৮ টাকা, নাজিরশাইল ৮৩-৯১ টাকা, মোটা চাল ৪৮-৫৫ টাকা, চিকন চাল ৭০-৮০ টাকা, কাটারি ৬০-৬৫ টাকা, আটাশ ৪৮-৫৫ টাকা এবং পোলাওয়ের চাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া বাজারে প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা, পিঁয়াজ ৫০ টাকা, রসুন ১২০-১৩০ টাকা ও আদা ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাজারে পৌঁছায়নি সরকার নির্ধারিত দামের চিনি। গতকাল বাজারে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনির কেজি বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। প্রতি কেজি রুই ২৬০-২৭০ টাকা, কাঁচকি ৭০০, পাবদা ৬০০, রূপচাঁদা ১ হাজার ১০০ এবং তেলাপিয়া ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর