শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সার সংকটে আলুর আবাদ ব্যাহতের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

সার সংকটে আলুর আবাদ ব্যাহতের শঙ্কা

রাজশাহীতে আলুর মৌসুমে পটাশ সারের সংকট দেখা দিয়েছে। ৭৫০ টাকা মূল্যের এক বস্তা পটাশ কৃষকদের কিনতে হচ্ছে ১১০০-১২০০ টাকায়। তার পরেও চাহিদা মতো সার পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এবার আলু চাষ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, সারের কোনো সংকট নেই। অতিরিক্ত সার প্রয়োগ রোধে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে। চাহিদা মতো সার প্রাপ্তিতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রমতে, এ বছর রাজশাহীতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছর ছিল ৩৮ হাজার ৫৪৩ হেক্টর জমিতে। ফলে গত বছরের তুলনায় এবার এক হাজার ৩৬৩ হেক্টর জমিতে আলু চাষ কম হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। যদিও গত এক সপ্তাহ আগ থেকে আলু চাষ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে রাজশাহীতে ১৮৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। নভেম্বর মাস জুড়েই আলু চাষ চলবে। সেই হিসাবে হাতে যে কয়দিন সময় আছে, এরই মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়ে যাবে। রাজশাহীর তানোর উপজেলা দেশের মধ্যে আলু চাষে তৃতীয় অবস্থানে আছে। আমশো গ্রামের তুষার আহমেদ বলেন, এ বছর আমি ৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করব। এরই মধ্যে জমি প্রায় ঠিকঠাক করেছি। কিন্তু পটাশ সার ঠিক মতো পাওয়া যাচ্ছে না। লাইন ধরে দুই বস্তা পটাশ পাইছি ৭৫০ টাকা করে। আর ৫ বস্তা কিনেছি ১২০০ টাকা দরে অন্য জায়গা থেকে। গোল্লাপাড়া গ্রামের নাজমুল হোসেন বলেন, ২০ বিঘা জমিতে এবার আলু চাষ করব। দুই-তিন দিনের মধ্যে জমিতে বীজ বপন শুরু করব। কিন্তু সার চাহিদা মতো পাচ্ছি না। ২০ বস্তা পটাশ কিনেছি অন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১১৫০ টাকা দরে। আমার আরও ৩০ বস্তা সার লাগবে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, সারের কোনো সংকট নেই। পর্যাপ্ত সার আছে। তার পরেও আমরা কৃষকদের অতিরিক্ত সার প্রয়োগ রোধে নিরুৎসাহিত করছি। অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করে জমির ক্ষতি এবং অর্থ ব্যয় ছাড়া ফলন বেশি হয় না। ফলে যতটুকু সার আলুর জমিতে প্রয়োজন আমরা ততটুকুই ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকের মাঝে সরবরাহ করতে চেষ্টা চালাচ্ছি।

সর্বশেষ খবর