বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ধর্ষণ মামলায় বাধ্যতামূলক অবসরে উপসচিব রেজাউল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্ষণের মামলা করায় কলেজছাত্রীকে আবারও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এ কে এম রেজাউল করিম নামে এক উপসচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। বরখাস্তের আগে তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক  ছিলেন।

বিভাগীয় মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় চাকরি হারালেন তিনি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়- এ কে এম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এ ছাড়া মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় আরেকটি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনে থাকায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে রুজু করা বিভাগীয় মামলায় অভিযোগনামা ও অভিযোগবিবরণী জারি করে তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তা লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানির প্রার্থনা করলে ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে তার দাখিল করা জবাব ও বক্তব্য সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করতে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষে সরকারি চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম-কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হলে কমিশন তাতে সায় দেয়। একই বিধিমতে গুরুদন্ড হিসেবে সরকারি চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সম্মতি জ্ঞাপন করেন। জানা গেছে, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা রেজাউল করিম ওরফে রতন ২০১৭ সালে মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালে ওই কলেজেরই ছাত্রী এ মামলার বাদীর সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। ‘প্রতারণার’ ফাঁদে ফেলে রেজাউল তাকে ধর্ষণ করেন এবং সেই ঘটনার ভিডিও আছে বলে হুমকি দিয়ে পরে এক বছর তাকে ধর্ষণ করে চলেন। এ অভিযোগ করে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়। এ মামলা করার আগের মাসে রেজাউলের বিরুদ্ধে তাকে মারধরের অভিযোগে একটি মামলা করেছিলেন ওই ছাত্রী। ওই অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর গ্রেফতার হয়েছিলেন উপসচিব রেজাউল। দুই মামলাতেই ধানমন্ডি থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর রেজাউলকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর