বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

গ্রামীণ টেলিকমের এমডিসহ তিনজনকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ লোপাট এবং প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারসহ চার অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কমিশনের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। গ্রামীণ টেলিকমের এমডি নাজমুল ইসলাম ছাড়াও আরও যে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন প্রতিষ্ঠানের সাবেক এমডি আশরাফুল ইসলাম ও পরিচালক পারভীন মাহমুদ। গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। জিজ্ঞাসাবাদের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি নাজমুল ইসলাম। অভিযোগের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুল বলেন, সব সিদ্ধান্ত হয়েছে বোর্ডের মাধ্যমে, ব্যক্তিগতভাবে কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত নন ডক্টর ইউনূস। তিনি দাবি করেন, প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের অর্থ ছাড় করা হয়েছে নিয়ম মেনেই। এর আগে অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ২৫ আগস্ট প্রথম দফায় প্রতিষ্ঠানটির এমডি নাজমুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুদক। গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ লোপাট, তাদের পাওনা ৩৬৪ কোটি টাকা পরিশোধে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন করা হয়। এ ছাড়া তাদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দ করা ৪৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ করাসহ কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের অভিযোগ রয়েছে। কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়। দুদকের তিন সদস্যের একটি দল গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধান করছে। এতে কমিশনের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ছাড়াও দুদক সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার ও নূরে আলম সিদ্দিকী রয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর