শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় সিরামিক মেলায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় সিরামিক মেলায়

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত সিরামিক মেলা গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। এশিয়ার বৃহত্তম সিরামিক পণ্যের এ মেলা শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। চলবে আজ পর্যন্ত। সকাল ১০টায় মেলা শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সংখ্যা।

গতকাল দুপুরের পর মেলায় গিয়ে দেখা যায়, দেশি-বিদেশি, ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। অনেকেই এসেছেন মেলা দেখতে। আবার অনেকেই এসেছেন সিরামিক পণ্য কিনতে।

মিরপুর থেকে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সিরামিক মেলায় এসেছেন আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, সপ্তাহে এক দিন ছুটি পাই। স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাইরে যাই। এখানে মেলা শুরুর খবর পেয়ে চলে এসেছি। ভালোই লাগছে। অনেক ধরনের সিরামিক পণ্য ও সামগ্রী প্রদর্শনী করা হয়েছে। নতুন নতুন টেবিলওয়্যার ও স্যানিটারিওয়্যার দেখেছি। মীর সিরামিকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং কাজী মো. আবদুল্লাহ ফারুক বলেন, মীর সিরামিক শুধু টাইলস আইটেম প্রস্তুত ও বাজারজাত করে। ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের দেখানোর জন্যই আমরা নতুন ডিজাইনের পণ্যগুলো মেলায় নিয়ে এসেছি। পুরনো কোনো ডিজাইনের পণ্য মেলায় প্রদর্শন করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ভালো। মীর সিরামিকস দেশের সব কোম্পানির তুলনায় ভালো পণ্য তৈরি করছে, মানের দিক দিয়ে কোনো কম্প্রমাইজ করা হয় না। আশা করছি আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। আমরা মেলায় কিছু পণ্য নিয়ে এসেছি। যেগুলো দেশের অন্য কোম্পানিগুলো আনতে পারেনি। আয়োজকরা জানান, মেলায় বিশ্বমানের নতুন নতুন টাইলস, স্যানিটারিওয়্যার ও টেবিলওয়্যার প্রদর্শন করা হয়েছে। একই ছাদের নিচে সিরামিক পণ্যের বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানাতে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে। গুণগত মান ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের কারণে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশে তৈরি সিরামিক পণ্যের কদর যেমন বাড়ছে তেমনি দেশিয় বাজারেও বাড়ছে চাহিদা। 

তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী দর্শনার্থী ও ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। দেশে বর্তমানে টেবিলওয়্যার, টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যারের ৭০টিরও অধিক সিরামিক কারখানা রয়েছে। দেশের বাজারে বছরে বিক্রি হয় ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার পণ্য। গত ১০ বছরে সিরামিক খাতে উৎপাদন বেড়েছে ২০০ শতাংশ এবং বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। বিশ্বের ৫০টিরও অধিক দেশে সিরামিক পণ্য রপ্তানি করে বছরে আয় প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এ শিল্পে ১৫ হাজার কোটি টাকার অধিক বিনিয়োগ রয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫ লাখ মানুষ এ খাতটির সঙ্গে জড়িত।

সর্বশেষ খবর