রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৩

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি রাজ্যটির বিরোধী দল নেতা ও বিজেপি এমপি এবং বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী একে অন্যের ‘দুর্গ’ দখলের চেষ্টা করছেন। অভিষেকের ‘দুর্গ’ (শক্ত ঘাঁটি) বলে পরিচিত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবারে গতকাল সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন শুভেন্দু, অন্যদিকে শুভেন্দুর ‘দুর্গ’ (শক্ত ঘাঁটি) বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে সমাবেশ করার ঘোষণা দেন অভিষেক। আর এই দুই সমাবেশ ঘিরে উত্তাপ ছড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে।

কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজ মাঠে অভিষেকের সমাবেশ। এই থেকে শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’-এর দূরত্ব ২৯৯ মিটারের বেশি নয়। জেলাজুড়ে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা বাদ্য সহযোগে সভামুখী হচ্ছেন, চলছে মাইকে প্রচার, মিছিল। বেলা ২টা নাগাদ এই সভা শুরু হওয়ার কথা, তার কয়েক ঘণ্টা আগেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ওই জেলার ভূপতিনগর। ওই ঘটনায় তৃণমূল নেতাসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম আরও দুজন। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটা ছিল যে, লাশগুলো কয়েক শ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে।

বিজেপির অভিযোগ, ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়ুয়াবিলা গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের বুধ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোম বাঁধার কাজ করছিল। তখনই অতর্কিতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে বাড়িটি উড়ে যায়। মর্মান্তিক মৃত্যু হয় রাজকুমার মান্নাসহ তিনজনের।

গতকাল দুপুরেই ডায়মন্ড হারবারের লাইট হাউস মাঠে শুভেন্দু অধিকারীর সমাবেশ কেন্দ্র করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। ইতোমধ্যে বিজেপির সভামঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাতে সভাস্থলে বোমাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। ডেকোরেটরসের লোকজনই প্যান্ডেল খুলে নিয়ে গেছে বলে দাবি তাদের।

প্রথমে ডায়মন্ড হারবারে সভা করার অনুমতি পাচ্ছিল না বিজেপি। বাধ্য হয়ে কুলপির দাড়িয়া গ্রামে সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেখানেও তৃণমূল বাধা দিয়েছিল। অবশেষে ডায়মন্ড হারবারের লাইট হাউস মাঠে উচ্চ আদালতের নির্দেশে সভা করার অনুমতি পায় বিজেপি। সেখানেই শুক্রবার সকাল থেকে মঞ্চ বাঁধার কাজ হচ্ছিল। রাতে সেই মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি এ সভাকে কেন্দ্র করে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছে নিরাপত্তার জন্য। রাজ্য পুলিশে আস্থা বা ভরসা নেই বলেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর