রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সরিষায় মুখরিত মাঠ

নওগাঁ প্রতিনিধি

সরিষায় মুখরিত মাঠ

নওগাঁয় সরিষা চাষের পরিমাণ বাড়ছে। আমন ধান কেটে কেউ আলু আবার কেউ সরিষা চাষ করছেন। মাঝখানে সরিষা চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন চাষিরা। ভালো দাম পাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে পুনরায় সরিষা চাষে মনোনিবেশ করছেন কৃষক। গত ৫ বছরে জেলায় সরিষা চাষের পরিমাণ বেড়েছে ১৪ হাজার ৪৩০ হেক্টর। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি রবি মৌসুমে জেলায় মোট ৪৩ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। গত অর্থবছরে ২৯ হাজার ২৬৫ হেক্টর, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩১ হাজার ১৭৫ হেক্টর, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩১ হাজার ৩২০ হেক্টর এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৩৪ হাজার ৭৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। অর্থাৎ গত ৫ বছরে জেলায় সরিষা চাষের পরিমাণ বেড়েছে ১৪ হাজার ৪৩০ হেক্টর। বর্তমানে কৃষকরা উন্নত জাতের বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১৭, বারি-১৮, বিনা-৪, বিনা-৭, বিনা-৯ এবং টরি-৭ জাতের সরিষার আবাদ করছেন। কৃষি বিভাগ থেকে প্রণোদনা ও সরিষার তেলের দাম বেশি হওয়ায় চলতি বছরে কৃষকের মাঝে সরিষা চাষে আগ্রহ বেড়েছে। মান্দা উপজেলার বালিচ গ্রামের কৃষক বকুল হোসেন বলেন, এ বছর দুই বিঘা জমিতে টরি-৭ জাতের সরিষার আবাদ করেছি। বিঘা প্রতি ৬-৭ মণ ফলন পাওয়া যায়। গত বছর ৩ হাজার ৩০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা মণ দাম পাওয়া গেছে। গত কয়েক বছর থেকেই ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। সরিষা উঠানোর পর ওই জমিতে বোরো আবাদ করা হবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন, বর্তমানে সরকার সরিষা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। বাজারে সরিষার ভালো দাম পাওয়া, নতুন নতুন উন্নত জাত উদ্ভাবনের ফলে ফলন বৃদ্ধি এবং পতিত জমিতে মধ্যবর্তী ফসল হিসেবে সরিষা চাষের মাধ্যমে লাভজনক হওয়ার কারণে কৃষক সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সরিষা উঠানোর পরেই তারা ওই জমিতে বোরো চাষ করতে পারছেন। এতে খরচ কিছুটা কম হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর