বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল ঢাকায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করা হয়।
দুদক জানায়, বিআইএফসির সাবেক চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ঋণগ্রহীতা মো. আমিনুর রহমান ও বিআইএফসির আরও ১০ জন কর্মকর্তাসহ মোট ১২ জন মামলা রুজুর অনুমোদন প্রাপ্ত হয়ে মামলা করা হয়েছে। মামলা নং-০৯, সজেকা ঢাকা-১। অভিযোগের বিষয়ে দুদক জানায়, মেজর (অব.) এম এ মান্নান এবং তার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে একে অন্যের সহায়তায় মেসার্স টেলিকম সার্ভিসেস লিমিটেডের মালিক মো. আমিনুর রহমানের নামে নিরাপত্তা জামানত ও মর্টগেজ ছাড়াই আট কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ দেখিয়ে সুদ ও আসলসহ গ্রাহকের কাছে পাওনা ৮ কোটি ৩৮ লাখ ৮১ হাজার ৭০৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। যা দ বিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ধারায় অপরাধ। মেসার্স টেলিকম সার্ভিস লিমিটেডের মালিক মো. আমিনুর রহমান, তার স্বাক্ষরে ২০১১ সালের ৮ডিসেম্বর বিআইএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর ৬০ দিন মেয়াদের জন্য ব্যবসায়িক প্রয়োজন মেটানোর জন্য ৮ কোটি টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থাপনা কমিটি ১৫ শতাংশ সুদে ৬০ মাসের জন্য এই ঋণের প্রস্তাব বোর্ডে উত্থাপন করে। সিকিউরিটি হিসেবে প্রত্যেকটি ঋণের বিপরীতে ৬০ পোস্টডেটেড ও একটি করে তারিখবিহীন স্বাক্ষরিত চেক জমা রাখার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে নিরাপত্তা জামানত হিসেবে চেক কিংবা অন্য কোনো সম্পদ মর্টগেজ নেওয়া হয়নি। এমনকি তাদের আবেদনকারীর সিআইবি রিপোর্টও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা হয়নি। পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি আলোচিত হয় এবং ৬০ মাস মেয়াদের জন্য মোট ৮ কোটি টাকা ঋণ প্রদানের বিষয়টি অনুমোদিত হয় বলেও জানায় দুদক।
