দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে সক্রিয় হচ্ছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সাংগঠনিক ‘খরা’ কাটাতে গঠন করতে যাচ্ছে জেলা এবং উপজেলা কমিটি। এ ছাড়া সারা দেশে শানে রিসালাত সম্মেলনের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা এবং উপজেলা কমিটি গঠন। দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহর এবং জেলা শহরে শানে রিসালাত সম্মেলন করা এবং জাতীয় পর্যায়ে শানে রিসালাত সম্মেলন করা।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আমাদের সাত দফা দাবির বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তিনি মনোযোগ দিয়ে আমাদের দাবিগুলো শুনেছেন। এ বিষয়ে আলোচনার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির বিষয়েও আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা সন্তুষ্ট।’ ২০২১ সালের ২৬ মার্চের আগে পরে হেফাজতের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের অভিযোগ ওঠে। এরপর আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর অভিযানে গ্রেফতার হন সংগঠনের কেন্দ্রীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের কয়েকশ নেতা। এরপর থমকে যায় হেফাজতের কার্যক্রম। এক বছরেরও অধিক সময় এ সংগঠনের কার্যক্রম স্থবির থাকে। তবে ১৭ ডিসেম্বর বড় ধরনের কর্মসূচির ডাক দেয় হেফাজত। রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানে কাজী বশির মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন করা হয়। ওই সম্মেলনে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন, দেশের জেলা, বিভাগীয় শহর এবং কেন্দ্রীয়ভাবে শানে রিসালাত সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঘোষণা করা হয় সাত দফা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হেফাজতে ইসলামের একাধিক নেতা বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ জ্বালাও-পোড়াও করে দাবি আদায়ের পক্ষে নয়। শান্তিপূর্ণভাবে সব দাবি আদায়ের চিন্তা করছে।’