বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

টাকায় ব্যাক-টু ব্যাক এলসির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডলার সংকটে এলসি খুলতে ব্যাংকগুলো হিমশিম খাচ্ছে উল্লেখ করে ডলারের পরিবর্তে টাকায় স্থানীয় ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে নিটওয়্যার মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ। নিট খাতের ৮০ শতাংশ কাঁচামাল স্থানীয় উৎস্য থেকে সংগ্রহ করায় পেমেন্টের জন্য খুব বেশি ডলারের প্রয়োজন হবে না বলছে সংগঠনটি।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর আহমেদ জামালের সঙ্গে বৈঠক করে এসব দাবি জানান বিকেএমইএ নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম।

তবে একই বৈঠকে উপস্থিত বিটিএমইর নেতারা এলসি ডলারে খোলার সুবিধাই বহাল রাখার দাবি জানান। 

বাংলাদেশ ব্যাংক উভয় পক্ষের মতামত নিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে।

মোহাম্মদ হাতেম বলেন, নিট সেক্টরের শতকরা ৮০ শতাংশ কাঁচামাল দেশীয় পর্যায়ে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। বর্তমান ডলার সংকট মোকাবিলায় স্থানীয় পর্যায়ে ঋণপত্র খোলা এবং এর মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের পরিবর্তে বাংলাদেশি টাকায় ঋণপত্র খোলা হলে এ সংকট মোকাবিলা কিছুটা হলেও সহজ হবে। এ ছাড়া ঋণপত্র ক্রয় এবং মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের পরিবর্তে টাকায় পরিশোধ করার ব্যবস্থা নিলে ডলার কনভার্সনের নীতিগত প্রক্রিয়ার কারণে আমরা ডলারপ্রতি যে ৭-৮ টাকার বিশাল অঙ্কের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি, তা থেকেও পরিত্রাণ পাব বলে আশা করছি। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে। ওই বৈঠকে উপস্থিত বিটিএমইএর প্রতিনিধি বাদশা মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, টাকায় ব্যাংক-টু-ব্যাক এলসি খোলা হলেও ডলার সাশ্রয় হবে না, কোনো সুযোগ নেই। আমরা ডলারে পেমেন্ট দিয়ে কটন আনি। টাকায় পেমেন্ট নিলে কটনের পেমেন্ট কেমনে দেব। আমরা অনেক বড় বড় মেয়াদি ঋণ নিয়েছি। এসব ঋণের কিস্তি প্রতি মাসে ডলারে পেমেন্ট করতে হয়। টাকা বিক্রি করে আমি তখন ডলার কোথায় পাব। বিদেশিরা এখনই আমাদের এলসি নিতে চায় না। আমাদের কোটি কোটি টাকার সুতা অবিক্রিত। এ সময়ে তারা আমাদের সুতাটা কিনে নিক। আমদানি বন্ধ করে আমাদের কাছ থেকে সুতা কিনলে তো সব ডলারই দেশে থাকবে।

সর্বশেষ খবর