সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে তৃতীয়বারের মতো বাঘ গণনা শুরু হয়েছে। গতকাল পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের কালাবগি ফরেস্ট স্টেশন এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে একজোড়া ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। জরিপ কাজের উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। বন কর্মকর্তারা জানান, সুন্দরবনে ৬৬৫ স্পটে জোড়া ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘের ছবি তোলা হবে। তার পর অ্যানালাইসিস করে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, প্রকল্পের আওতায় ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে বাঘ গণনার কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের অর্থ ছাড় নিয়ে জটিলতা হওয়ায় জরিপ কাজ পিছিয়ে যায়।
পরে গত বছরের অক্টোবরে ৩ কোটি ২১ লাখ টাকা ছাড় দেয় পরিকল্পনা কমিশন। তিনি বলেন, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। সুন্দরবনে এখন বাঘের সংখ্যা কত ও এ বাঘকে টিকিয়ে রাখতে কী করণীয় এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হবে। বাঘ গণনার ফলাফল জানা যাবে ২০২৪ সালের জুন-জুলাইয়ে। এ সময় খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার উপস্থিত ছিলেন। সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প পরিচালক ও পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, এবারই প্রথমবারের মতো বাঘের পাশাপাশি হরিণ ও শূকর গণনা হচ্ছে।
এর আগে ২০১৫ ও ২০১৮ সালে ক্যামেরার মাধ্যমে বাঘ জরিপ করা হয়। খুলনা রেঞ্জ, সাতক্ষীরা রেঞ্জ ও শরণখোলা রেঞ্জ জরিপ এলাকার আওতাভুক্ত ছিল। এবার চাঁদপাই রেঞ্জকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে সুন্দরবনের চারটি রেঞ্জই ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের আওতায় থাকবে।