সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

নারী ক্রীড়াবিদের রহস্যজনক মৃত্যু স্বামী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেট জেলা দলের সাবেক কৃতী ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় (শাটলার) ফারজানা হক মিলির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মিলির বড় বোন নগরীর তেলিহাওরের সিলভ্যালি টাওয়ারের বাসিন্দা রিপন খানের স্ত্রী রুমানা হক সোহেলী বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গতকাল কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন। মামলায় মিলির স্বামী একই টাওয়ারের বাসিন্দা মো. নূর আলমকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। পুলিশ নূর আলমকে আটক করে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। মামলার এজহারে সোহেলী অভিযোগ করেন, প্রায় চার বছর আগে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিয়ারকাপন গ্রামের মো. আশকর আলীর ছেলে মো. নূর আলমের সঙ্গে মিলির বিয়ে হয়। নূর আলম জুয়া ও নেশায় আসক্ত ছিল। নেশা ও জুয়ার টাকার জন্য সে প্রায়ই মিলিকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করত। কয়েকদিন আগে মারধর করে মিলির ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়ে যায়। এছাড়া মিলির স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক রেখেও ঋণ আনে। গত বৃহস্পতিবার মিলিকে ৫ হাজার টাকা দিতে বললে সে অপরাগতা প্রকাশ করে। তখন সে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে তাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়। নির্যাতন সইতে না পেরে বিকাল ৪টার দিকে মিলি তার কক্ষের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে সোহেলী দরজা খোলার চেষ্টা করতে নূর আলমকে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতে নূর আলম কর্ণপাত করেনি। একপর্যায়ে সোহেলী তার স্বামী রিপন খানকে দিয়ে দরজা খোলার উদ্যোগ নিলে তাতেও নূর আলম বাধা দেন। এই অবস্থায় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ঘরের সিলিং ফ্যানে মিলির লাশ ঝুলে থাকতে দেখেন। সিলেট কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কাহের জানান, মিলির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার বড় বোন রোমানা হক সোহেলী বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেছেন। মামলার একমাত্র আসামি মিলির স্বামী নূর আলমকে শনিবার লাশ উদ্ধারের দিনই আটক করা হয়েছিল। গতকাল ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর