বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার লোকালয়ে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার (বাঘ) ঢুকে পড়ায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গতকাল সকালে উপজেলার সোনাতলা গ্রামের বিভিন্ন স্থানে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান গ্রামবাসী। এ ঘটনায় সুন্দরবন বিভাগ জারি করেছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। জনসাধারণকে সচেতন করতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে মাইকিং। সুন্দরবন সুরক্ষায় নিয়োজিত কমিউনিটি প্যাট্রোল গ্রুপের (সিপিজি) সহসভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম সাচ্চু জানান, বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সুন্দরবন থেকে শুকিয়ে যাওয়া ভোলা নদী পার হয়ে একটি বাঘ শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামে ঢুকে পড়ে। বাঘটি ওই গ্রামের আবু ভদ্দর, আসলাম ভদ্দর, আ. মালেক, হারুন হাওলাদারের বাড়ির পুকুর পাড়সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছে। গতকাল সকালে গ্রামবাসী ওইসব স্থানে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়ে বন বিভাগকে খবর দেন।
সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. সামসুল আরেফিন জানান, চাঁদপাই রেঞ্জের ভোলা নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীরা সহজেই বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। ভোলা টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা সোনাতলা গ্রামে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান। ছাপ দেখে মনে হচ্ছে বাঘটি প্রাপ্ত বয়স্ক। গতকাল সকাল থেকে গ্রামবাসীকে সাবধানে চলাচল করতে মাইকিং করা হচ্ছে। রাতে লোকজনকে ঘর থেকে বের না হতে ও গবাদিপশু নিরাপদে রাখতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাঘটিকে যাতে বনে ফিরিয়ে নেওয়া যায় সেজন্য বন বিভাগের পাশাপাশি বন সুরক্ষায় নিয়োজিত সদস্যরা ওই গ্রামে টহল দিচ্ছেন। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, লোকালয়ে চলে আসা বাঘটি খুঁজে সুন্দরবনে ফিরিয়ে নিতে বন বিভাগ চেষ্টা চালাচ্ছে। গ্রামবাসীকে সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে। বনরক্ষীরা টহল দিচ্ছেন।
