শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

গাজীপুরে সুতা ব্যবসায়ীর মৃত্যু নিয়ে তুলকালাম

পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পুলিশ ও পরিবারের

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে এক সুতা ব্যবসায়ীর মৃত্যুর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পুলিশ বক্সে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও বিক্ষোভ করেছে। এ সময় তারা চারটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের গুলি ছুড়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার ও তার দেহরক্ষী এ ঘটনায় আহত হয়েছেন। এলাকাবাসীর দাবি পুলিশের নির্যাতনে ওই ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশের দাবি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। অথচ মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী এবং মাদক ব্যবসায়ীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এদিকে এ ঘটনা তদন্তে জিএমপির পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহত ওই ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম (৪৫) রংপুরের পীরগঞ্জ থানার শাহজাদপুর এলাকার আবদুল বাকীর ছেলে। নিহতের স্ত্রী নুপুর বেগম,  ছোট ভাই মহিদুল ইসলামসহ স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানাধীন ভোগড়া পেয়ারা বাগান এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে সুতার ব্যবসা করতেন রবিউল ইসলাম। শনিবার রবিউলসহ চারজনকে মোবাইল অনলাইনে বিট কয়েনের মাধ্যমে জুয়া খেলার অভিযোগে আটক করে বাসন থানা পুলিশের এএসআই মাহবুবুর রহমান ও নুরুল ইসলাম। রাতে পুলিশ থানা হাজত থেকে তিনজনকে ছেড়ে দিলেও রবিউলকে মুক্তি দেয়নি। মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে রবিউলকে থানা থেকে জামিনে ছাড়িয়ে নিতে তার স্ত্রী নুপুর বেগমকে খবর দিয়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। থানায় গেলে পুলিশ তার কাছ থেকে কয়েকটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে জানান তার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। পরে ওই রাত ৩টার দিকে তিনি জানতে পারেন স্বামী রবিউল ইসলাম ঢাকা মেডিকেলে মারা গেছেন। এলাকাবাসী জানান, পুলিশের নির্যাতনে ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম নিহত হয়েছেন-এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। জিএমপির বাসন থানার ওসি মোহাম্মদ মালেক খসরু খান জানান, মোবাইলে বিট কয়েন দিয়ে জুয়া খেলার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে রবিউলকে আটক করা হয়েছিল।

 পরে ওই রাতেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রাতে বাসায় ফেরার পথে ভোগড়া বাইপাস সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় তিনি আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। পুলিশ তাকে নির্যাতন করেনি এবং সে পুলিশের নির্যাতনে মারা যায়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর