ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বার পক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষের পর গতকাল আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ৪০টি দোকান ও বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সকালে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত শুক্রবার ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে গায়ে সিএনজির ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে এবং পরদিন শনিবার আশুগঞ্জের দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল মিয়া এবং ইউপি সদস্য মিজান মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। জানা গেছে, এ ঘটনার জের ধরেই চেয়ারম্যান ও মেম্বারের লোকজন গতকাল আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। মিজান মেম্বারের পক্ষে মোল্লাবাড়ি, হাজী ইউসূফ পাড়া ও শরিয়ত উল্লাহ পাড়া এবং চেয়ারম্যানের গোষ্ঠীর পক্ষে নজরবাড়ি, মুন্সিবাড়ি, বামুমুন্সির বাড়ি ও নূরারপাড় বাড়ি লোকজন অংশগ্রহণ করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে মিজান মেম্বারের গোষ্ঠীর একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় স্থানীয় বাজারের ১৩টি দোকানে অগ্নিসংযোগসহ আরও প্রায় ২৭টি বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর করা হয়। পরে আগুন দেওয়া হয়। দমকল বাহিনীর সদস্যরা এসে সে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) জয়নাল আবেদীন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আশুগঞ্জ থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
