শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ছুটির দিনে বাণিজ্য মেলায় উপচে পড়া ভিড়

জাহাঙ্গীর আলম হানিফ, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

ছুটির দিনে বাণিজ্য মেলায় উপচে পড়া ভিড়

মেলার শেষের দিক ও ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২০তম দিনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। মেলা প্রাঙ্গণ ও আশপাশ ছিল লোকে লোকারণ্য। মেলায় দেশের ৩৮টি কারাগারের ৫৯ হাজার কয়েদির তৈরি পণ্য নজর কেড়েছে ক্রেতাদের।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কারাগার হলো সংশোধনাগার। ভুল করে অপরাধ আর ইচ্ছাকৃত অপরাধে দন্ড নিয়েও সাজা শেষে ফিরবেন সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে। তাই কয়েদিরাও কারাগারে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। তারা নিপুণ হাতে কারুকাজে তৈজস আর গৃহস্থালি পণ্য তৈরি করে আয় করছেন টাকা। তাদের  সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে এমন উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসনীয় হয়েছে। তাছাড়াও কারাপণ্যের দাম সাশ্রয়ী থাকায় আগ্রহ রয়েছে সাধারণ ক্রেতাদের। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৭তম আসরেও স্থান পেয়েছে কারাপণ্যের প্যাভিলিয়ন। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেলার প্রধান ফটকের সামনেই প্যাভিলিয়নটির অবস্থান।

নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার শাহ রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশে ৬৮টি কারাগার রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগ করছেন অনেকে। কারাগারে দীর্ঘমেয়াদি বন্দি রয়েছেন প্রায় ৬৯ হাজার। তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শেখানো হয়েছে নানা ধরনের হস্তশিল্পের পণ্য তৈরির কাজ। অবসরে তারা নিজ হাতে তৈরি করছেন নানারকমের পণ্য। প্রতি বছরের মতো এবারও স্টল নিয়েছেন কারাবন্দিদের হাতে তৈরি পণ্যের। বর্তমানে ১৮ হাজার কারাবন্দি সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। তাদের তৈরি পণ্য বিক্রির জন্য ‘কারাপণ্য বাংলাদেশ জেল’ নামে একটি প্যাভিলিয়ন সাজানো হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ‘বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি মোড়া, প্লাস্টিক ও বাঁশ দিয়ে তৈরি কুলা, কাঠ দিয়ে তৈরি নৌকা, পাটজাত পণ্য, জামদানি শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, নকশিকাঁথা, পাটের তৈরি ব্যাগসহ নানা পণ্য। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কারাপণ্য বাংলাদেশ জেল’। কারাপণ্য লেখা দেখে কৌতূহল নিয়ে অনেকেই প্রবেশ করছেন আর দেখছেন পণ্যের মান। পুঁতি দিয়ে তৈরি নানা সৌন্দর্যবর্ধক পণ্য বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। নজরকাড়া সব ডিজাইনে আকৃষ্ট হচ্ছেন অনেকে। তবে নকশিকাঁথা ও জামদানি শাড়ি নজর কাড়ে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের। এতে করে বাড়ছে কারাপণ্যের চাহিদা। মেলায় ঘুরতে আসা পিতলগঞ্জের বাসিন্দা শামীম ভূঁইয়া বলেন, কারাপণ্যের মান ভালো। দেখতে সুন্দর। কারুকাজে ভরা এসব পণ্য টেকসই মনে হলো। তাই কিছু কিনলাম। তবে কিছু পণ্যের দাম অনেক বেশি মনে হয়েছে। মেলায় আগত মধুখালীর আল আমিন মোল্লা বলেন, এখানকার জামদানি শাড়ি ও নকশিকাঁথাগুলো অনেক সুন্দর। একটি জামদানি শাড়ির দাম ৭ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। দাম একটু বেশি মনে হলো। আরেকটু কম হলে ভালো হতো।

সর্বশেষ খবর