শিরোনাম
শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীসহ তিন লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- তাজ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান শান্ত (২২), গৃহিণী নুরজাহান (২৫), কারাবন্দি হাজতি ফুয়াদ সোহেল খান শুভ (৪৮)।

মৃত হাসিবুলের বড় ভাই আবদুল কাইয়ুম বলেন, বাড্ডা লিংক রোড এলাকার তাজ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়তেন হাসিবুল। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি দরজা বন্ধ করে উচ্চৈঃস্বরে গান চালু করেন। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রুমে একটানা গান বাজতে থাকে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে রুমের দরজা খুলে ফেলেন।

ভিতরে ঢুকে তারা দেখেন ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে হাসিবুল। তার রুম থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে।

এতে হাসিবুল লিখেছেন, ‘বাবা আমাকে ক্ষমা করে দিও, আমি তোমার যোগ্য সন্তান হতে পারলাম না। জীবনে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলাম। আমি একটা মানুষকে বেশি পছন্দ করি। যদি সে চায় তার ভরণপোষণ নিবা। আমি আমার মোবাইলটাকে পছন্দ করি। এইটা ওই মানুষটাকে দিয়ে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। মায়ের পায়ের কাছে আমাকে কবর দিও।’ আবদুল কাইয়ুম বলেন, তাদের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার ঘোষকামতা গ্রামে। বাবার নাম আবুল খায়ের আবু। হাসিবুল পরিবারের সঙ্গে ২৪৩০ নম্বর পূর্ব ভাটারায় রফিকুল ইসলামের বাড়িতে থাকতেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে হাসিবুল তৃতীয়। ভাটারা থানার এসআই হোসেন মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে অভিমান করে হাসিবুল আত্মহত্যা করেছেন। এ ছাড়াও অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে। মৃত নুরজাহানের স্বামী মুজাহিদ জানান, তিনি বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন- ফ্লোরে পড়ে আছেন নুরজাহান। তার নাক, মুখ দিয়ে লালা ঝরছে। তখন তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও মাথাব্যথা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। নুরজাহানের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলায়। স্বামী মুজাহিদ ও পাঁচ বছরের ছেলে গালিবকে নিয়ে ভাটারা নূরেরচালায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভাটারা থানার এসআই সাইদুল ইসলাম বলেন, অসুস্থতাজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার দাবি করলেও বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে তাঁর শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। এদিকে, গতকাল ঢামেক হাসপাতালে ফুয়াদ নামে এক কারাবন্দি হাজতির মৃত্যু হয়েছে। তার হাজতি বন্দি নম্বর ৫৭১০১/২২। জানা গেছে, ফুয়াদ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কারারক্ষী মো. শাহিনুর রহমানসহ অন্যরা তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ফুয়াদ মাদক মামলার আসামি ছিলেন বলে জানা গেছে। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার শ্যামনগরে। পুলিশ জানায়, গতকাল ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর