শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

২৪ জেলায় আজও থাকবে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ

প্রতিদিন ডেস্ক

দেশের ২৪ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। আবহওয়া অফিস বলছে, আজও এ জেলাগুলোতে মৃদু-মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জেলাগুলো হলো ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা জেলাসহ রংপুর বিভাগ। গতকাল দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সূত্র জানায়, গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে কোথাও কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন শ্রীমঙ্গলে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আগামী ১২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এবং এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আমাদের শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি জানান, শীতের শহর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা আরও কমা শুরু হয়েছে। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান  জানান, গতকাল সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত কয়েকদিন ধরে এখানে মৃদ থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বাইছে। আরও কয়েকদিন এই আবহাওয়া বিরাজ করবে। এদিকে গত দুই দিন ধরেই শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকালে কুয়াশা কেটে সূর্যের দেখা মিললেও রোদের তেজ থাকছে না। বইছে হিমেল হাওয়া। বিকাল গড়ালেই কুয়াশায় আচ্ছন্ন উপজেলা। শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষের। বিশেষ করে চা বাগানের শ্রমিক ও হাওর পাড়ের মানুষেরা বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি জানান, উত্তরের এ জেলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। হিমেল হাওয়া আর প্রচ- শীত ও কুয়াশা রয়েছে অব্যাহত। শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে কৃষকের। বিভিন্ন এলাকায় বোরো বীজতলাসহ সরিষার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। কৃষকরা বলছেন, আবহাওয়া এমন থাকলে ভাল ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা। এদিকে অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে সরিষার ফুল ঝরে নষ্ট হচ্ছে। আর বোরো ধানের বীজতলা লালচে রং হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর