বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন কেউ ভোট দিতে যেতে চায় না। আজকের জাতীয় সংসদ হলো একদলীয় ক্লাব অব আওয়ামী লীগ। আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমাদের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য রাজপথে প্রাণ দিতে হচ্ছে। আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে চাই, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই, ভোটাধিকার চাই, গণতন্ত্র ফিরে পেতে চাই। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) এ সভার আয়োজন করে। বিএসপিপির আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, অধ্যাপক ডা. আবদুল কুদ্দুস, অধ্যাপক ড. বোরহানউদ্দিন খান, অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, সাংবাদিক কামাল উদ্দিন সবুজ, শহীদুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. হানিফ প্রমুখ। মির্জা ফখরুল বলেন, ঐহিত্যগত সংস্কৃতি, জীবনমান ও মূল্যবোধবিরোধী কার্যক্রম পাঠ্যপুস্তকে মেনে নিতে পারি না। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন ‘আপনারা কেউ ইস্যু তৈরি করবেন না; আমরা সংশোধনের ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ আমাদের বক্তব্য হচ্ছে অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তকের অসংযুক্তিগুলো বাতিল করতে হবে। ইস্যু তো আমরা তৈরি করছি না, বরং আপনারা (সরকার) ইস্যু তৈরি করছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে চলছে এক ব্যক্তির শাসন, কীসের ভোট; তোমাদের ভোটও আমরা দেব। কথায় কথায় বলে গণতন্ত্র হবে আমাদের মতো করে। তাদের গণতন্ত্র তো বহুদলীয় গণতন্ত্র থেকে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা।’ তিনি বলেন, বিএনপির ১০ দফার প্রথম দাবি হচ্ছে এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে তাদের অধীনে নির্বাচন। জনগণের মধ্যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে আমরা সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করব।
