শনিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

দাম চড়া চিনির, বেড়েছে সবজি ডিম রসুন ও মরিচের

বাজার দর

নিজস্ব প্রতিবেদক

দাম চড়া চিনির, বেড়েছে সবজি ডিম রসুন ও মরিচের

ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে চিনির দাম বাড়ার কথা থাকলেও এখনই বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে খোলা চিনি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১১২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এখনই বাড়তি দামে চিনি বিক্রি শুরু করেছেন। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকার কমে মিলছে না। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে চিনির দামে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ ছাড়া মসলাসহ আদা-রসুন ও শুকনো মরিচের দামেও অস্থিরতা বিরাজ করছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন সবজির দামও।  বাজারে প্রতি কেজি আদা ১৫০-২০০ টাকায় ঠেকেছে। রসুনের দামও বেড়ে হয়েছে ১৫০-১৮০ টাকা। তুলনামূলক কিছুটা কম দামে দেশি জাতের আদা-রসুন মিললেও চাহিদা কম। আগে যে শুকনো মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হতো ১০০-১৫০ টাকায় তা এখন ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায় ওঠানামা করছে। ভারতীয় মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৭০ টাকায়। মিয়ানমারের মরিচের কেজি ৩৫০-৩৭০ টাকা।

শীত মৌসুম শেষ না হলেও বাজারে দাম চড়া মৌসুমি সবজির। প্রায় প্রতিটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে আগের থেকে ৫-১০ টাকা বেশিতে। কেজিতে প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫৫-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকায়।

চট্টগ্রামে কমেছে সবজির দাম, অপরিবর্তিত মাছ : প্রায় সব ধরনের সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কমেছে। তবে মাছ আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপির কেজি গত সপ্তাহে ৫০ টাকা হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। শিম কেজি ৬০ টাকা থেকে কমে  ৫০, বেগুন ৬০ ও ৮০ টাকা থেকে কমে ৫০, বাঁধাকপি ৩০ টাকা থেকে কমে ২৫,  পেঁপে ৪০, টমেটো ৭০ টাকা থেকে কমে ৪০, নতুন আলু ৪০ টাকা থেকে কমে ৩০, মূলা ৫০ টাকা থেকে কমে ২০-৩০, ঝিঙে ৮০ টাকা, বরবটি ৯০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে কমে ৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে শালগম গত সপ্তাহে ৩০ টাকা বিক্রি করলেও এ সপ্তাহে ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে নতুন পিঁয়াজ ৪৫ টাকা থেকে কমে ৪০ টাকা ও রসুন ১৪৫ টাকা করে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মরিচ ১২০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে দেশি মুরগির ডিম প্রতি হালি ৬০ থেকে ৬৫ ও হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে ফার্মের মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৪১ টাকা। মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আগের মতো চড়া দামে সব ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে। রুই মাছ ২৪০, কাতলা ২৭০, কার্প জাতীয় মাছ ২২০ থেকে ২৫০, তেলাপিয়া ২০০, কই ২২০, মৃগেল ২০০, চিংড়ি ৫৬০, পোয়া ৪০০, রূপচাদা ৬০০, প্রতি কেজি ইলিশ ১ হাজার, কোরাল ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৬০ ও দেশি মুরগি ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৮০০, খাসির মাংস ৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর