সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

চসিক প্রকৌশলীর ওপর হামলা ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) একটি প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী ড. গোলাম ইয়াজদানির ওপর  হামলা করা হয়েছে। গতকাল বিকালে নগরের টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয় ভবনের চারতলায় প্রকল্প পরিচালকের কক্ষে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা প্রকৌশলীকে মারধর করে টেবিলের কাচ এবং দরজার বাইরের নামফলক ভেঙে ফেলে। প্রকৌশলী ইয়াজদানি চসিকের ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ শীর্ষক ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্পের পরিচালক। তিনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযোগ উঠেছে, দুর্নীতিবাজ কিছু ঠিকাদার দরপত্রের মাধ্যমে কাজ না নিয়ে জোর খাটিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকালে এ ঘটনা ঘটায়। লটারিবিহীন কাজ বিক্রির দায়-দায়িত্ব না নেওয়ার কারণে প্রকৌশলীর ওপর এ হামলা করা হয়েছে। প্রকৌশলী ড. গোলাম ইয়াজদানি গণমাধ্যমকে বলেন, কার্যালয়ে বসার পরপরই অনুমতি ছাড়া প্রায় ২০-২৫ জন ঠিকাদার তার কক্ষে ঢুকে পড়েন।  কথা বলার এক পর্যায়ে তারা অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলে পড়েন। এ সময় তারা তাকে উপর্যুপরি কিলঘুষি মারতে থাকেন। অফিস সহকারী তিলক দে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। ১০ মিনিটের মতো মারধরের পর হামলাকারীরা সেখান থেকে চলে যান। প্রকল্পের কাজ না পাওয়া ঠিকাদাররা এ হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ বলেন, একটি অফিসের প্রকৌশলীর ওপর হামলার বিষয়টি অবশ্যই অন্যায় ও ন্যক্কারজনক। এটি মানার মতো নয়। বিষয়টি আমরা সিরিয়াসলি দেখছি। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে চসিক আইনগতভাবে এগোবে। খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলা দায়ের করা হলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা যায়, গত বছরের ৪ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পটি পাস হয়। প্রকল্পের অধীনে বিমানবন্দর সড়ক সম্প্রসারণসহ রুবি সিমেন্ট এলাকায় ৬০০ মিটারের ওভারপাস, ৭৬২ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার, ৩৮টি ফুটওভার ব্রিজ, ১৪টি ব্রিজ, ২২টি কালভার্ট, বিমানবন্দর সড়কে ৬০০ মিটার ওভারপাস নির্মাণ ও ১০টি গোলচত্বর নির্মাণ করা হবে। ২০২৪ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। ঘনবসতিপূর্ণ চট্টগ্রামের যানজট হ্রাস এবং ভবিষ্যতের জন্য নগরীকে প্রস্তুত করতে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর