শিরোনাম
বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

মহাসড়কে গার্মেন্ট পণ্য চুরি বন্ধে ব্যবস্থা চায় বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গার্মেন্ট পণ্য চুরি বন্ধে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও আইনের কঠোর প্রয়োগসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। গতকাল রাজধানীর উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে পোশাক খাতের আইনশৃঙ্খলাজনিত বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘প্রায় দেড় যুগ ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২ হাজারের বেশি কাভার্ডভ্যান থেকে শত শত কোটি টাকার রপ্তানিযোগ্য তৈরি পোশাক পণ্য চুরি করেছে একটি চক্র। ২০২২ সালে ২০-২২টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ প্রসঙ্গে আমি সাম্প্রতিক একটি ঘটনা তুলে ধরছি। জানুয়ারি মাসের শুরুতে ব্রাজিল থেকে ভিডিওর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারককে জানানো হয়, প্রায় বেশির ভাগ কার্টনের ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ পোশাক তারা বুঝে পাননি।

এই শিপমেন্টে ২৬ হাজারের বেশি পোশাক ছিল। সেবার প্রায় ৮ হাজারের মতো পোশাক চুরি হয়।’ তিনি বলেন, এ ঘটনা জানানো হলে এই চক্রের মূল হোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার ও চুরি করা পণ্য জব্দ করা হয়। চক্রের প্রধান হোতা গডফাদার শাহেদের বিরুদ্ধে ১৭ থেকে ১৮টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও আছে। ধরা পড়ার পর শাহেদ জানিয়েছেন, ক্রেতাদের স্যাম্পল দেখে তারা সেই স্যাম্পলের বাজার দর যাচাই করেন। যদি পণ্যের মূল্যমান ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার মধ্যে হয়, তবেই তারা এ ধরনের চুরির অভিযান চালান। তিনি বলেন, ‘শুধু শাহেদ নয়, গার্মেন্ট পণ্য চুরির জগতে আরও মাস্টারমাইন্ড ও চক্র রয়েছে, যারা একই কাজ করছে। পরে ধরা পড়লেও কোনো শাস্তি ভোগ না করে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসছে তারা। এই অপরাধীদের কারণে আমাদের পোশাকশিল্প বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’ ফারুক হাসান বলেন, মহাসড়কে পোশাকশিল্পের পণ্য চুরি রপ্তানিকারকদের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। বিজিএমইএ পোশাকশিল্পের চুরি রোধে বছরের পর বছর ধরে মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের গ্রেফতার করলেও চুরির মামলা হওয়ায় আইনের দুর্বলতার কারণে চোরচক্র ১৫ দিন থেকে এক মাসের মধ্যে জামিনে বের হয়ে আসে। এরপর পুনরায় একই কাজ করতে থাকে। তিনি বলেন, পোশাকশিল্পের অসৎ কর্মচারীরা এসব অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন, যারা চক্রগুলোর সঙ্গে যোগসাজশ করে রপ্তানি পণ্য লোপাট করছেন। তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। এ ব্যাপারে যেন কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া না হয়। এদিকে মহাসড়কে পোশাক চুরি রোধে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা দিয়েছে বিজিএমইএ।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর