শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গাজর চাষ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গাজর চাষ

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নের কৃষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গাজর চাষ করছেন। গাজর চাষ করে আগামী দিনগুলো যাতে ভালোভাবে চলে যায় তার স্বপ্ন দেখছেন এসব কৃষক। এ জেলার আবহাওয়া ও মাটি গাজর চাষের জন্য বেশ উপযোগী। গাজর চাষে খরচ কম, লাভও বেশি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেকটা রোগবালাইমুক্ত হওয়ায় গাজর চাষে সাফল্য পেয়েছেন মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নের হাজারও কৃষক। চলতি মৌসুমে এসব এলাকায় প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে গাজরের চাষ করা হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। এ ফসলটি চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন জেলার অনেক কৃষক।

শহরের উত্তর সাপটানা এলাকার গাজর চাষি মৃণাল চন্দ্র রায় জানান, গাজর চাষে ব্যয় কম হওয়ায় এ বছর তিনি এক একর জমিতে গাজর চাষ করেছেন। চাষকৃত জমিতে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে বাজার চাহিদা ও ফলন ভালো হওয়ায় খরচ মিটিয়ে লক্ষাধিক টাকা আয় আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

কৃষক বুলু মিয়া বলেন, গাজর চাষ করতে তেমন খরচ নেই বললেই চলে। তবে নিজেদের গোবর থাকলে জমিতে প্রয়োগ করে গাজরের বাম্পার ফলন পাওয়া সম্ভব। গাজর চাষে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন কৃষি বিভাগ। ধারণা করছি, প্রায় ৫০ হাজার টাকা গাজর বিক্রি করতে পারব। খরচ হয়েছে প্রায় ৭ হাজার টাকা।

জানা যায়, একবার চাষে করে কমপক্ষে ৩ দফা গাজর উৎপাদন করা যায়। এ ছাড়া গাজর গাছের ডালপালা গবাদি পশুর খাবার হিসেবেও বেশ চাহিদা রয়েছে। আর এর শিকড়গুলো জৈবসার হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। মোগলহাট ইউনিয়নের মধ্যে কাকেয়া টেপা, ভাটিবাড়ী, কোদালখাতা, ফুলগাছে গাজরের আবাদ বেশি হচ্ছে। গাজরসহ শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকরা ঋণ সহায়তা আর পরামর্শ পেলে আরও বেশি উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে, যেগুলো ত্বককে ব্রণ থেকে রক্ষা করে। এমনকি ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় গাজরের রস লাগালেও উপশম হয়। গাজরের চাষ বাড়াতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। এ বছর জেলায় প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে গাজর চাষ হয়েছে।

সর্বশেষ খবর