বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সীমান্তের শূন্যরেখায় মিলনমেলা

প্রতিদিন ডেস্ক

সীমান্তের শূন্যরেখায় মিলনমেলা

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শূন্যরেখায় গতকাল দুই বাংলার মানুষ একমঞ্চে গাইলেন বাংলা ভাষার জয়গান। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দিনাজপুরের হিলি, যশোরের বেনাপোলসহ বিভিন্ন সীমান্তে এসব আয়োজন করা হয়। ভৌগোলিক সীমারেখা ভুলে কেবল ভাষার টানে দুই বাংলার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় এসব স্থান। এ সময় মিষ্টি ও ফুল বিনিময় করে দুই দেশের আবেগপ্রবণ অনেক মানুষ একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন। আমাদের প্রতিনিধিরা এসব তথ্য পাঠিয়েছেন।

বেনাপোল : দুই বাংলার মানুষ বেনাপোল সীমান্তে নো-ম্যানস-ল্যান্ডে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে ভাষাশহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানায়। এ সময় পেট্রাপোল ও বেনাপোল চেকপোস্টে ঢল নামে হাজারো মানুষের। উভয় দেশের জনপ্রতিনিধিরা বলেন সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির কথা। বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন ও ভারতের বনগাঁও পৌরসভার মেয়র শংকর এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

দিনাজপুর : জেলার হিলি সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। দুই বাংলার ভাষা-সংস্কৃতি এক তাই এবারও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার ঐতিহ্য ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে দিতেই সীমান্তের শূন্যরেখায় এ আয়োজন। সেখানে দুই বাংলার ভাষাপ্রেমীদের সম্প্রীতির মিলনমেলায় পরিণত হয়। হাকিমপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পৌরসভা ও সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত, ভারতের বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটি ও বালুরঘাট-মেঘালয় করিডোর কমিটি, রেইনবো সোসাইটি এর আয়োজন করে। এ সময় সীমান্তের শূন্যরেখায় (মুক্তিযোদ্ধা স্কয়ার) অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। ভারতের রেইনবো কালচারাল একাডেমির কর্ণধার শুভঙ্কর সাহেব রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুব ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশে ভাষা দিবস উদযাপন করব। আজ আমি সার্থক।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর