শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

কলকাকলিতে মুখরিত আত্রাই

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

কলকাকলিতে মুখরিত আত্রাই

কয়েক বছর ধরে শীতের শুরুতে দলবেঁধে আসতে শুরু করে পরিযায়ী পাখি। এরা আবাস গড়ে তোলে নওগাঁর মহাদেবপুরের আত্রাই নদীতীরের কুঞ্জবন এলাকাজুড়ে। এখনো এদের বিচরণে মুখরিত হয়ে আছে নদী। স্বচ্ছ পানিতে ঘুরছে হাজারো পরিযায়ী পাখি। এর মধ্যে রয়েছে বালিহাঁস, সরালি হাঁস, পানকৌড়ি, রাতচোরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। এ ছাড়া রয়েছে পিয়াং হাঁস, পাতি সরালি, লেঙজাহাঁস, বালিহাঁস, পাতিকুট, শামুকখোল, পানকৌড়ি, ছন্নি হাঁসসহ প্রায় ১২ জাতের দেশি পাখি। এসব পাখি প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীর স্বচ্ছ পানিতে জলকেলিতে ব্যস্ত থাকছে। এরা কখনো জলে ভাসতে ভাসতে আবার কখনো দলবেঁধে উড়ছে নদীর চারপাশে। একসঙ্গে ওঠানামা করতে গিয়ে পা আর পাখার ঝাপটায় চারদিকে ছিটকে পড়া পানিতে সৃষ্টি হচ্ছে এক অপরূপ দৃশ্য। সারা দিন নদীতে থাকলেও রাতে পাখিগুলো ফিরে যায় পাশের রামচন্দ্রপুর ও মধুবনসহ এলাকার বিভিন্ন গাছে। ভোরে আবারও ফিরে আসে আত্রাই নদীতে। মনোমুগ্ধকর এ দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন পাখিপ্রেমীরা। নিরাপদে পাখিগুলোর বসবাসের জন্য আবাস করে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন। পাখি দেখতে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, এখানে এসে অতিথি পাখি দেখে মনটা ভরে যায়। খুব সুন্দর পরিবেশ ও মনোমুগ্ধকর এ জায়গা। অতিথি পাখির অবাধ বিচরণ। এলাকাটিতে যদি পাখির অভয়ারণ্য গড়ে তোলা যায় সেক্ষেত্রে প্রতি বছর এখানে পরিযায়ী পাখি আরও বেশি করে আসত। এসব পাখি ঘিরে এলাকাটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে। মহাদেবপুর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান বলেন, আত্রাই নদীতে যেসব স্থানে পাখির অবাধ বিচরণ আছে সেসব স্থানে যাতে কেউ নৌকা দিয়ে মাছ শিকার করতে না পারে সে বিষয়ে মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকে নজরদারি রয়েছে। এ ছাড়া কেউ যদি পাখি শিকার করে, আমরা জানতে পারলে বনবিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর