সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

এডিশনাল ডিআইজির বাসায় ডাকাতি, ইউনিফর্ম টাকা স্বর্ণালংকার লুট

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সিলেট রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজির বাড়িসহ দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনকে জিম্মি

করে ঘরে থাকা পুলিশের ইউনির্ফম, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুুট করেছে। সিলেট রেঞ্জে কর্মরত এডিশনাল ডিআইজি আবদুল জলিল জানান, শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে তাদের মাওনা ইউনিয়নের বেলতলি গ্রামের বাড়িতে ডাকাতরা হানা দেয়। ওই বাড়িতে তার বাবা ও মা বসবাস করেন। তারা দুজনই হৃদরোগী।               

ডাকাতরা ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে সংসার খরচের টাকা, তার ইউনিফরম ও মায়ের স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে গেছে। পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল জলিলের বাবা আবদুল বাতেন জানান, শনিবার রাতে খাবার খেয়ে তারা বসতঘরে ঘুমিয়ে যান। রাত ১টার দিকে মুখে কালো মুখোশধারী সাত-আটজনের ডাকাতদল মই ব্যবহার করে বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ভিতর ঢুকে গেটের তালা ভেঙে রামদা ও ছুরি হাতে ঘরে ঢুকে। আমাদের গলায় রামদা ঠেকিয়ে কয়েক ডাকাত সদস্য ঘিরে রাখে। বাকিরা ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও আমার ছেলে পুলিশ কর্মকর্তার দুই সেট ইউনিফরম নিয়ে যায়। সবার পরনে কালো রঙের গেঞ্জি, মুখে কালো মুখোশ ও হাফ প্যান্ট ছিল। তারা ঘর থেকে আড়াই ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।

অপরদিকে, রাত সাড়ে ৩টার দিকে মাওনা ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের ফয়সাল আহমেদের বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। এ সময় ওই বাড়ির সদস্যদের জিম্মি করে আট ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২ লাখ টাকা লুটে নেয় বলে জানিয়েছেন ফয়সাল আহমেদ। মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিন্টু মোল্ল্যা বলেন, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তারা পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ির পেছন দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া মই দিয়ে টপকে বাড়ির ভিতর ঢুকে। এরপর তারা আধ পাকা টিনশেড বারান্দায় থাকা থাই গ্লাস খুলে তালা কেটে আবদুল বাতেনের শোবার ঘরে চার-পাঁচজন ছুরি, শাবল ও রড নিয়ে ঢুকে। পরে তাকে দেশীয় অস্ত্রে জিম্মি করে মালামাল লুটে নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার পরপরই ওই ডাকাতদল রাত সাড়ে ৩টার দিকে দুই-আড়াই কিলোমিটার দূরে ইন্দ্রপুর গ্রামে ফয়সালের বাড়িতে হানা দেয়। সেখানেও তারা নগদ টাকা ও মালামাল লুটে নেয়। তিনি আরও জানান, পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি শেষে চলে যাওয়ার সময় পাশের আরেক বাড়িতে ডাকাতি করবে বলে জানিয়ে ডাকাতদল তাদের চিৎকার ও কাউকে ডাকাডাকি করতে নিষেধ করে। এরপর তারা রাত সাড়ে ৩টার দিকে ফয়সালের বাড়িতে ডাকাতি করে। গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ডাকাতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর