শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
জি ২০ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গারা এ অঞ্চলে নিরাপত্তা সংকট তৈরি করছে

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসবাদী শিবিরে যাওয়ার বাংলাদেশের আশঙ্কা পরোক্ষে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের চূড়ান্ত দলিলে স্বীকৃতি পেল। গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি অবস্থান এই অঞ্চলে নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি করছে। যার প্রতিক্রিয়া সুদূরপ্রসারী হতে পারে। এদের যেমন চরমপন্থায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তেমনি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এদের প্রভাবিত করতে পারে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনের ফলাফল সংক্রান্ত দলিল প্রকাশ করেন। দলিলে রোহিঙ্গা সমস্যার নাম না করে ষষ্ঠ অনুচ্ছেদ প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হয়েছে।

দলিলে বলা হয়েছে, ‘আমরা জাতিগত ও বিদ্বেষগত, ধর্মীয় ভেদাভেদ সব ধরনের অসহিষ্ণুতা এবং বর্ণবৈষম্যের কারণে অত্যাচারের কঠোর ভাষায় নিন্দা করছি। এসব ঘটনা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সভায় উপস্থিত সব রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আন্তর্জাতিক দুনিয়া যদি মনে করে এরা গভীর বিপদ তাহলে অবিলম্বে এদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হোক। সভায় উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন থেকে শুরু করে রাশিয়া চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ছিলেন। ড. মোমেন বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনীয়তার নীতিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের জমি অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। এই কারণে আজ ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যের মানুষ নিরাপদে শান্তিতে বাস করতে পারছেন। পরে ড. এস জয়শংকর বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সর্বসম্মতি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে মেরুকরণ তীব্র হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতে এর উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। এর আগে বাংলাদেশের মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের কারণে পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। জি২০ এর অধ্যক্ষ হিসেবে ভারতের এই যুদ্ধ থামানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত।’

সর্বশেষ খবর