বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রীর শপথ মানিকের

কলকাতা প্রতিনিধি

ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রীর শপথ মানিকের

ত্রিপুরায় আবারও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডা. মানিক সাহা। আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে গতকাল এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাকে শপথ করান রাজ্যপাল সত্যাদেও নারায়ণ আর্য। আগরতলায় বিজেপির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সম্বিত পাত্রের উপস্থিতিতে এর আগের দিন মঙ্গলবার মানিককে বিধান পরিষদীয় দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ২০২২ সালের মে মাসে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব-এর জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানো হয় মানিক সাহাকে। সে সময় রাজ্যটির বরদোয়ালি টাউন কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জয়লাভ করে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন তিনি। এবারের নির্বাচনেও সেই আসনটিই নিজের দখলে রাখলেন পেশায় দন্ত চিকিৎসক ৬৯ বছর বয়সী মানিক সাহা। তার সঙ্গে এদিন ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন রতন লাল নাথ, প্রণজিত সিংহ রায়, সুশান্ত চৌধুরী, সান্ত্বনা চাকমা, টিংকু রায়, বিকাশ দেববর্মা, সুধাংশু দাস, শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া। নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জয়প্রকাশ নাড্ডা প্রমুখ। জাতীয় কংগ্রেস ছেড়ে ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দেন মানিক সাহা। ২০২০ সালে রাজ্য বিজেপির সভাপতি হন তিনি। ২০২২ সালের মার্চে রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন মানিক। সূত্র জানায়, মানিক সাহার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার ছিলেন কেন্দ্রীয় ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। সদ্য বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যটির ধানপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন প্রতিমা। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যটির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিপিআইএম নেতা মানিক সরকারকে পরাজিত করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন প্রতিমা। তবে প্রতিমার চেয়ে মানিকের ওপরই বেশি ভরসা রেখেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এদিকে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হলেও ত্রিপুরায় রাজনৈতিক হিংসা কিছুতেই থামছে না। আর এই কারণ দেখে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করে সিপিআইএম ও কংগ্রেস। রাজ্যে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত আটজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ত্রিপুরার উদয়পুর রাজনগর এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন পারুল বালা দাস (৪৫) নামের এক নারী। উল্লেখ্য, ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩২টি আসন (প্রাপ্ত ভোটের হার ৩৯ শতাংশ) পায়। তাদের শরিক দল ‘ইন্ডিজিনাস পিপল ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা’ (আইপিএফটি) ১টি আসনে জয়লাভ করে।

সর্বশেষ খবর