বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
বাজেট ভাবনা

মেশিন আমদানির ক্ষেত্রে জটিলতা কমাতে হবে

মোহাম্মদ হাতেম

রাশেদ হোসাইন

মেশিন আমদানির ক্ষেত্রে জটিলতা কমাতে হবে

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানির ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা তৈরি করে রাখা হয়েছে। মেশিন আমদানির জন্য অবারিত সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ মেশিন আনলে দেশের কোথাও না কোথাও কেউ সেটা সেট করবে। এরপর উৎপাদন হবে। এ উৎপাদন দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ     করবে। দেশের ভিতরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া বিদেশে পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে। সেখানে মেশিনারি আমদানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দফতর থেকে প্রত্যয়নপত্র, এরপর বুয়েট থেকে প্রত্যয়নপত্র নিতে হয়। এত জটিলতা কেন থাকবে? এত প্রতিবন্ধকতায় মানুষকে বিনিয়োগ থেকে নিরুৎসাহিত করা হয়। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আয়কর বিষয়ে তিনি বলেন, শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য উৎস আয়করকে চূড়ান্ত উৎস করদায় হিসেবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ০.২৫ শতাংশ হারে নির্ধারণ করতে হবে। রপ্তানির বিপরীতে প্রদত্ত নগদ সহায়তার ওপরে আয়কর কর্তনের হার ১০% থেকে কমিয়ে তা ০% নির্ধারণ করা উচিত। তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মূল্যায়নের সময় কর আরোপকালে অগ্রহণযোগ্য খরচ ও অন্যান্য আয়ের ক্ষেত্রে একই কর্পোরেট ট্যাক্স হার প্রয়োগ করার প্রস্তাব করেন তিনি। সাব কন্ট্রাকটিংয়ের বিলের ক্ষেত্রে আরোপিত ৩০% কর থেকে অব্যাহতি প্রদান করার প্রস্তাব করেন তিনি। ম্যান মেড ফাইবারের কাঁচামাল এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে সবরকম আরোপিত কর, মূসক এবং ডিউটি প্রত্যাহার করা দরকার। এফডিআরের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার করতে হবে কেননা এটি ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত চাপের পাশাপাশি তাদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

ভ্যাট প্রশ্নে তিনি বলেন, শতভাগ রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে শূন্য ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি ও উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ১০০% ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন। এস.আর.ও নং- ১৪০-আইন/২০২১/১৩৭-মূসক, ৩ জুন ২০২১ এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদের মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বিধিমালা ২০১৬ এ নতুনবিধি ১৮ (খ) ও ১৮(গ)-এর অধীন ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণপত্র খোলার জন্য রপ্তানিকারক ও স্পেশাল বন্ডেড ওয়্যার হাউস থাকার বাধ্যবাধকতা রহিত করে সংশ্লিষ্ট বিধির প্রয়োজনীয় সংশোধন করা উচিত। কাস্টমস সম্পর্কে তিনি বলেন, এসআরও নম্বর ১১৩-আইন/২০২১/০২/কাস্টমস অনুসারে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে বিভাগীয় ভ্যাট অফিস থেকে প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বিধান রহিত করা চাই। একই সঙ্গে এসআরও এর ৫ ও ৬ নম্বর শর্ত অনুসারে পণ্য স্থাপনে সংশ্লিষ্ট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল বা ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ/অনুষদের বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণ সাপেক্ষে অঙ্গীকার ফেরত দেওয়ার বিধান রহিত করতে হবে। রপ্তানির বৃহত্তর স্বার্থে ইন্ডাস্ট্রিয়াল র‌্যাঙ্কিং সিস্টেমের আমদানি শুল্ক ১৫% থেকে হ্রাস করে মূলধনী যন্ত্রপাতির মতো রেয়াতি হারে শুল্কায়ন করা প্রয়োজন। রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা তৈরি পোশাক ছত্রাকমুক্ত রাখার লক্ষ্যে কারখানার অভ্যন্তরে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণের জন্য থার্মোস্টাট ডি হিমুডিফিয়ার যন্ত্রটি শুল্কমুক্ত বা রেয়াতি হারে আমদানির অনুমতি দিতে হবে। ইফ্লোয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্টও (ইটিপি) সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য আমদানি করা রাসায়নিকের শুল্ক ও মূসক ০% রাখার সুপারিশ করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর