শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিদেশি ফলের বাগান দেশের মাটিতে

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

বিদেশি ফলের বাগান দেশের মাটিতে

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এক লন্ডন প্রবাসী শখের বশে দেশের মাটিতে বিদেশি ফলবাগান গড়ে তুলেছেন। দুই বছরের মাথায় বাগানের গাছে গাছে এসেছে মুকুল, কটিসহ বিভিন্ন ফল। দিনে দিনে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে এই বিদেশি ফলবাগান।

বাগানটির মালিক কাজী আয়শা মণি। থাকেন লন্ডনে। দুই বছর আগে শখ করে তার জন্মস্থান শ্রীমঙ্গলে উত্তর-উত্তরসুর গ্রামে সাত বিঘা জমির ওপর এই ফলবাগান গড়ে তোলেন। বাগানে রোপণ করেন সাউথ আফ্রিকান হলুদ মাল্টা, থাই বারমাসি মাল্টা, থাই কাডিমুন বারমাসি, রেড আইবেরি, ইন্ডিয়ান আলপানস, আমেরিকান পালমার, অগ্নিশর কলা, চাইনিজ কমলা, থাই জামবুরা, দার্জিলিং কমলা, চায়না আম কিংআফ চাকাপাত, থাইল্যান্ডের আলফানসো আম, বোম্বাই লিচু, চায়না ৩ লিচু, চায়না টক কুল, বলসুন্দরী কুল, সফেদা, আনার, একোকেডু, থাই পিংক কাঁঠাল, থাই বারমাসি কাঁঠাল, থাই লংগান, রামভুটান, জি নাইন কলা, মিষ্ট তেঁতুল, ব্যানানা ম্যাংগো ও ভিয়েতনামের খাটো নারিকেলসহ ২৬ প্রজাতির ৪ হাজার ৫০০টি বিদেশি ফলের গাছ।

পাশাপাশি রোপণ করেন মাল্টা, আম, পেঁপে ও পেয়ারাসহ দেশি উচ্চ ফলনশীল ৪০ প্রজাতির ৪৫০টি ফল গাছ। আর ফল গাছের ফাঁকে ফাঁকে চাষ করেন উচ্চ ফলনশীল নানান জাতের সবজি। বাগানের ভিতর এক বিঘা জমিতে করেন মাছের খামার। এই ফল বাগানটি এলাকায় কাজী অ্যান্ড আজাদ এগ্রো ফার্ম নামেই পরিচিত।

সরেজমিন দেখা যায়, মুকুলে ভরে গেছে দেশি-বিদেশি আম গাছ। ফুল এসেছে আনার গাছে। কুলের ভারে নুয়ে আছে ডাল। গাছে ধরেছে কালো বাঁধাকপি আর কালো টমেটো। রয়েছে ফুলকপি ও ব্রুকলি। মাচায় ঝুলছে লাউ। মাঠে ছড়িয়ে আছে মিষ্টি লাউ। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে লাল, সাদা আর সবুজ মরিচ।

বাগানের পরিচালক মামুন বলেন, মূলত এটি বিদেশি ফলবাগান হলেও নানান জাতের দেশি ফল ও সবজি চাষ করা হচ্ছে। এখানে সব কিছুই অর্গানিক পদ্ধতিতে চাষ করা হয়। বাগানটি দিনে দিনে বাণিজ্যিক হয়ে উঠছে।

কাজী আয়শা মণি বলেন, প্রবাসীদের মধ্য থেকে দেশে বিনিয়োগের আগ্রহ খুবই কম। আমি চাচ্ছি আমার এই ফার্ম দেখে অন্য প্রবাসীরা দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন। এতে আমার দেশের অর্থনীতির ভিত আরও মজবুত হবে। স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এ পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এখানে আরও অনেক কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর