মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাড়ে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ

মেজর মান্নানের বিরুদ্ধে ফের দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জামানত ও মর্টগেজ ছাড়া ঋণের সাড়ে ৪ কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেডের (বিআইএফসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) এম এ মান্নান ও ঋণগ্রহীতাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির উপপরিচালক মো. আবদুল মাজেদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মেট্রোপলিটন সিএনজি লিমিটেডের অনুকূলে নিরাপত্তা জামানত ও মর্টগেজ ছাড়াই ৬ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ করেন। যার মধ্যে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৩ টাকা আসলসহ ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৯২ হাজার ৬৮৩ টাকা মন্দ ঋণ হিসেবে আনাদায়ী রয়েছে। আর ওই ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়নি কিংবা জমাও দেওয়া হয়নি।

দুদকের অনুসন্ধান বলছে, ২০১১ সালের মার্চে নেওয়া ঋণ ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/৪২০/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন- বিআইএফসির সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) এম এ মান্নান, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মান্নান, মেট্রোপলিটন সিএনজি লিমিডেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর হোসেন, বিআইএফসি পরিচালক আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, এ এম এম জাহাঙ্গীর আলম, মহিউদ্দীন আহমেদ, রোকেয়া ফেরদৌস, রইস উদ্দিন আহমেদ, প্রতিষ্ঠানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহমুদ মালিক, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুর রহমান, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ফকরে ফয়সাল, সাবেক এভিপি আহমেদ করিম চৌধুরী ও সাবেক সিনিয়র অফিসার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। এ মামলাসহ মেজর মান্নানের বিরুদ্ধে দুদক মোট আটটি মামলা করেছে। আট মামলায় আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ ১৫০ কোটি টাকার বেশি।

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মান্নানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এর আগে ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট প্রথম মামলা করে দুদক। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাকি মামলাগুলো করা হয়।

সর্বশেষ খবর