বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, প্রতিযোগিতা কমিশনের মতো সংস্থাগুলো রয়েছে। পণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে এই সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। কৃত্রিমভাবে পণ্যের সংকট সৃষ্টি করে মজুদদারি বাড়িয়ে কেউ যদি অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করে, তবে তা মোকাবিলায় মনিটরিং জোরদার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন, সে জন্য ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়েই সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখার উদ্যোগ নিতে হবে। সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘ডলারের বিপরীতে টাকার অবনমন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব স্থানীয় বাজারেও পড়েছে। আমরা কিছুদিন আগে দেখেছি, ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানির জন্য এলসি করতে পারছেন না। এসব বিষয় বাজার ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ ক্ষেত্রে সরকার টিসিবির মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ এবং ওএমএস (ওপেন মার্র্কেট সেল) কার্যক্রম গ্রহণ করে উচ্চমূল্যের অভিঘাত থেকে স্বল্প আয়ের মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারে।’ ড. মোস্তাফিজুর বলেন, প্রতি বছর রোজার মাসে কিছু সুনির্দিষ্ট পণ্যের দাম বাড়ে। ফলে এসব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা আগে থেকেই শুরু করা উচিত। সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর দেখা উচিত, নিত্যপণ্যের চাহিদা, মজুদ, আমদানি ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে কি না। এ বিষয়গুলোর কোনো একটিতে সমস্যা হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাবে।