চলছে পবিত্র রমজান মাস। গতকাল রোজার তৃতীয় দিনে বাহারি পসরায় সেজে উঠেছিল কলকাতার রাজাবাজার এলাকার ইফতারি বাজার। অন্যতম মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা রাজাবাজার। শিয়ালদহ স্টেশন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড ধরে একটু এগোলেই রাজাবাজার।
দেখা গেছে, বড় দোকান থেকে শুরু করে মহল্লার ছোট দোকান, ফুটপাতের অস্থায়ী খাবারের দোকানগুলোয় বাহারি পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। দুপুরে শুরু হয়েছে কেনাবেচা। তবে ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসতেই বিক্রেতাদের হাঁকডাক, ব্যস্ততা বাড়লেও ক্রেতার উপস্থিতি হয়ে যায় একেবারেই কম।
এদিন রাজাবাজারের মূল রাস্তার পাশের ফলের দোকানগুলো খোঁজ নিয়ে দেখা গেল খেজুর, পেঁপে, তরমুজ, কলার চাহিদা বেশি। অন্যদিকে রাস্তার পাশেই টেবিলে করে বিক্রি হচ্ছে পিঁয়াজু, আলুর চাপ, বেগুনি, ডালের বড়া, ছোলা। অনেকে আবার সেমাই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। সাবির আহমেদ নামে এক ক্রেতা জানান, ‘ফলের দাম বেড়েছে। ফলে সমস্যাও বেড়েছে। আর সে কারণে পরিমাণে কিনতে হচ্ছে কম। স্বাভাবিকভাবে খাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দিতে হচ্ছে। আগে ১০ রুপিতে চারটে কলা পেলেও এখন ওই রুপিতে মাত্র তিনটে কলা মিলছে। আপেলের কেজি ১৬০ রুপি, তরমুজ ৩০ রুপি, আঙুর ১০০ রুপি, কলা (১২ পিস) ৫০ থেকে ৬০ রুপি, সেমাই প্রতি কেজি ১৮০ রুপি।’ মোহাম্মদ ইসলাম খান নামে একজন জানান, ‘প্রতিটি জিনিসেরই দাম বেড়েছে। কিন্তু কী আর করা যাবে? কিনতে হবে, খেতেও হবে।’ মোহাম্মদ গুড্ডু নামে এক কলা বিক্রেতা জানান, ‘বিক্রি মোটামুটি ভালোই। তবে দাম বেড়েছে। আগে ১০ রুপিতে চারটে বিক্রি হতো, এখন ১০ রুপিতে তিনটে বিক্রি করতে হচ্ছে।’ ফল বিক্রেতা মোহাম্মদ খালিদ জানান, ‘এক ডজন (১২) কলা প্রকারভেদে ৪০ রুপি, ৫০ রুপি এবং ৬০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। তরমুজ প্রতি কেজি ৩০ রুপি, আপেল প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ রুপি।’ সেমাই বিক্রেতা নওশাদ জানান, ‘সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১৮০ রুপি কেজি। সব জিনিসের দাম বেড়েছে। গরিব মানুষের অসুবিধা হচ্ছে।’ ইফতারির বাজারে বেচাকেনায় এখনো সেই ভিড় দেখা না যাওয়ার কারণ হিসেবে কেউ কেউ বলছেন, দামের ঊর্ধ্বগতি। কারও কারও অভিমত ১৫-১৬ রমজানের পর কেনাবেচায় গতি আসবে।