বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট

নারায়ণগঞ্জ ও দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৮ কিলোমিটারজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের সাইন বোর্ড থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এবং কাঁচপুর থেকে দাউদকান্দি সেতু পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার যানজট দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দ স্নানে পুণ্যার্থীদের আগমনের কারণে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপে গতকাল ভোর থেকে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশের প্রায় ২০টি টিম মহাসড়কে কাজ করছে। তীব্র যানজটের ফলে ভোগান্তিতে পড়েন কর্মস্থলে ও জরুরি কাজে বের হওয়া যাত্রীরা। অধিকাংশ যাত্রীকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তবে যানবাহনের চাপের কারণে বিকল্প সড়কগুলোতেও যানজট দেখা গেছে। এ যানজটে শত শত যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ ছোট ছোট যানবাহনও ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা পড়ে। যানজটে আটকা পড়ে হাজারো যাত্রীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তিসা পরিবহনের চালক শামছুল আলম বলেছেন, সকাল ১০টায় কুমিল্লা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়ে বেলা ১টা বাজলেও এখনো দাউদকান্দিতে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের চালক রুবেল মিয়া বলেন, ভোরে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে এসেছি, দাউদকান্দি এসে আটকা পড়েছি। গতকাল সন্ধ্যায় কাঁচপুর হাইওয়ে থানার টিআই (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, এখন যানজট কিছুটা কমেছে। কাঁচপুর থেকে গজারিয়া পর্যন্ত রয়েছে।

তবে যানজট যা কমেছে তা পুলিশের চেষ্টায়। কারণ এখনো পুণ্যার্থীদের ঢল রয়েছে। লাঙ্গলবন্দের সরু সড়কে ২ লাখ মানুষ যদি একসঙ্গে নেমে যায় তাহলে তো যানজট হবেই। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি নিয়ন্ত্রণের।

তিনি আরও জানান, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিপত্তি হচ্ছে মোড়ে মোড়ে হাত তুলেই সবাই রাস্তা পারাপার হয়ে যান। এর মধ্যে গাড়ি চলমান থাকলে দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে। রাস্তা পারাপারের কারণেও যানজট হচ্ছে। আমাদের ২০টির মতো টিম কাজ করছে যানজট নিয়ন্ত্রণে।

সর্বশেষ খবর