রেকর্ড দাবদাহের মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে পানি সংকট। হাজারো বাসিন্দা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। তার ওপর কয়েকটি এলাকায় অনেক দিন ধরেই রয়েছে পানির সংকট। তারা পড়েছেন আরও বড় বিপদে। রাজধানীর আদাবর, শেখেরটেক, মেহেদীবাগ, মনসুরাবাদ, মিরপুর কাজীপাড়া, মোহাম্মাদিয়া হাউজিংয়ে পানির সংকটের কথা জানিয়েছেন বাসিন্দারা। বনশ্রী ডি ব্লকের রেডিয়েন্ট কৃষ্ণচূড়া (হাউজ-১, ২ রোড-৮) থেকে আশপাশ এলাকায় গত তিন দিন ধরে পানি সরবরাহ নেই। এই এলাকায় রয়েছে প্রায় ২ হাজার পরিবার। গত তিন দিন ধরে খাওয়াদাওয়া এবং গোসলের পানি মিলছে না স্থানীয়দের। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্টদের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কেউ সাড়া দিচ্ছে না। এখানকার বাসিন্দা সাংবাদিক কলামিস্ট মীর আবদুল আলীম বলেন, ওয়াসার দুর্নীতি অবহেলাসহ নানা সমস্যার কথা জানি, তবে গত তিন দিন ধরে যে অমানবিক আচরণ ওয়াসা স্থানীয়দের সঙ্গে করেছে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’ শেখেরটেকের বাসিন্দা আতিয়া বেগম জানান, রাতে কিছু সময়ের জন্য পানি থাকে। রাজধানীর আহমেদবাগ এলাকার দ্বিতীয় লেনেও শুধু রাতে কিছু সময়ের জন্য পানি আসে। সকালে পানির প্রয়োজন হলে অন্য এলাকা থেকে নিয়ে আসতে হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পানির সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। ওয়াসার পানির পাইপ বসানোর কাজ চলমান থাকায় কোথাও কোথাও পানির সংকট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই। বাসিন্দারা জানান, অনেক দিন ধরেই লাইনে পানি নেই। রমজান মাসে তো এমন কষ্ট সহ্য করা যায় না। তার ওপর কিছু দিন ধরে তীব্র গরম। পানির সংকটে অস্থির তারা। বাধ্য হয়ে অনেকে ওয়াসার গাড়ি থেকে পানি কিনছেন। অভিযোগ আছে সেখানেও ৪০০ টাকার বদলে ৬০০-৮০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। ঠিক সময়ে আসছে না পানির গাড়ি। বাসিন্দারা বলছেন, এত দিন গাড়ি থেকে পানি আনতাম। কিছু দিন ধরে বাড়তি টাকা আদায় করা হচ্ছে। তার ওপর বেশ কিছু দিন ধরে ঠিকমতো পানিও দিচ্ছে না। ঢাকা ওয়াসার রাজধানীতে চাহিদার বিপরীতে প্রতিদিন পানি উৎপাদিত হয় ১০ শতাংশেরও বেশি। তবে বিভিন্ন এলাকায় পানির পাইপ এবং পাম্প নষ্ট থাকায় এই বাড়তি পানি খুব বেশি কাজে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আসে না। ফলে গ্রীষ্মকাল আসতে না আসতেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় পানির তীব্র সংকট। ওয়াসার দৈনিক পানির উৎপাদন সক্ষমতা ২৬০ কোটি লিটার। ঢাকা শহরে ২১০ থেকে ২৪৫ কোটি লিটার পর্যন্ত চাহিদা থাকে। তবে গরমে চাহিদা বেড়ে যায় বলে জানিয়েছে ওয়াসা।