বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

কালামের জিলাপির ৫০ বছর

মেহেরপুর প্রতিনিধি

কালামের জিলাপির ৫০ বছর

স্বাদ ও নির্ভেজাল ঐতিহ্য ৫০ বছর ধরে রেখেছে কালামের জিলাপি। ভোজনবিলাসীদের কাছে সাধারণ সময়ে এর চাহিদা ব্যাপক আর রমজান মাসে তো কথাই নেই। ইফতারে কালামের জিলাপি নেই এটা যেন স্থানীয় ভোজনপ্রিয় রোজাদাররা ভাবতেও পারেন না। মেহেরপুর শহরের থানা রোডে তিন রাস্তার মোড়ে টিন শেডের আধা পাকা ঘরে ১৯৭৬ সালে আবুল কালাম আজাদ নিজস্ব পদ্ধতিতে জিলাপি তৈরি শুরু করেন। স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও উন্নত মানের জন্য ভোজনবিলাসীদের কাছে অল্পদিনেই ছড়িয়ে পড়ে কালামের জিলাপির নাম। ১৯৮৪ সালে আবুল কালাম আজাদ ইন্তেকাল করলে তার ভাই মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার হাফিজ হাল ধরেন। তখন থেকে হাফিজ এর বৈশিষ্ট্য, স্বাদ ও গুণ অক্ষুণ্ণ রেখে সফলতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কালামের জিলাপির বর্তমান কর্ণধার আবদুস সাত্তার বলেন, জিলাপি তৈরিতে অধিকাংশ ব্যবসায়ী হাইড্রোজেনসহ মানবদেহে ক্ষতিকর বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশাচ্ছে কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে জিলাপি তৈরি করি বলেই আমাদের জিলাপির প্রতি ক্রেতাদের এত আকর্ষণ। বড় ভাই প্রয়াত আবুল কালাম আজাদ নিজ হাতে আমাকে শিখিয়েছেন কীভাবে জিলাপি ভাজতে হয়, কীভাবে ময়দার সঙ্গে অন্যান্য উপাদানের মিশ্রণ ঘটাতে হয়। তিনি সবসময় বলতেন, ব্যবসার মূল পুঁজি অর্থ নয়, সততা ও নির্ভেজাল পণ্যে ভোক্তার হৃদয় জয় করতে হয়। তার এ অমূল্য উপদেশ আমি প্রতি পদে পদে স্মরণ করে চলি। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ কেজি জিলাপি বিক্রি হয়, তবে রমহজান মাসে তা বেড়ে যায়। গত বছর ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও বিভিন্ন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ বছর ১৬০ টাকা কেজি দরে জিলাপি বিক্রি করতে হচ্ছে। মেহেরপুরের সাবেক ফুটবল খোলোয়াড় ধলশ বলেন, গুণ ও স্বাদে অতুলনীয় কালামের জিলাপি। তার জন্য জিলাপির কথা মনে পড়লেই এখানে ছুটে আসতে হয়। জেলার বাইরে থেকে আসা অতিথিদেরও এখানে আনতে ভুলি না।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর