বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

মধ্যরাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

মধ্যরাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র

ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বুলবুল আহম্মদের সঙ্গে সাবেক সদস্য জুলহাস মাতুব্বরের লোকজনের এ সংঘর্ষ ঘটে। সোমবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে বুলবুলসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এলাকাবাসী জানায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বুলবুল আহম্মদের সঙ্গে জুলহাস মাতুব্বরের বিরোধ চলছিল। এর আগে বেশ কয়েকবার দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েকদিন যাবৎ দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। সর্বশেষ সোমবার সন্ধ্যার পর দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দিবাগত রাত ১২টার দিকে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় কয়েক শ লোক ঢাল, সড়কি ও রামদা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে জুলহাস মাতুব্বরের সমর্থক মেহেদী মীরের দোকান ভাঙচুর, লুটপাট ও মনির খন্দকারের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত বুলবুল আহম্মদের সমর্থক আবুল বাশারকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউপি সদস্য বুলবুল আহম্মদ ও তার সমর্থক মিরাজ মোল্লাকে গুরুতর অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। বুলবুল আহম্মদ বলেন, ‘রবিবার দিবাগত রাতে আমি আমার দু-তিন জন সমর্থক নিয়ে গ্রামের উত্তর পাশে গেলে জুলহাস মাতুব্বরের লোকজন চোর চোর বলে হামলা চালায়। এ খবর পেয়ে আমার সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে জুলহাস মাতুব্বরের লোকজন নিজেরাই তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও দোকান ভাঙচুর করে।’ জুলহাস মাতুব্বর বলেন, ‘বিনা কারণে বুলবুল আহম্মদের লোকজন আমার সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে।’ ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সর্বশেষ খবর