খুলনায় সিটি ভোটকে কেন্দ্র করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। দলে ঐক্য ধরে রেখে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে নির্বাচনে যেতে চান দলটির সিনিয়র নেতারা। এ কারণে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেককে সিটি নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো দলীয় মনোনয়ন দিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে। তাকে ঘিরেই ঐক্যবদ্ধ স্থানীয় আওয়ামী লীগ। বিশ্লেষকরা বলছেন, সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ খুলনা-২ ও খুলনা-৩ আসন রয়েছে সিটি করপোরেশন এলাকায়। সিটি নির্বাচনে বড় জয় পেলে এর প্রভাব সংসদ নির্বাচনে পড়বে। ফলে খালেককে সামনে রেখেই একই সঙ্গে সংসদ নির্বাচনের মাঠ গোছানো ও দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার দুই টার্গেট নিয়েছে আওয়ামী লীগ। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ‘অ্যাসিড টেস্ট’। এ নির্বাচনে বিজয় অর্জন করতে পারলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক সহজ হয়ে যাবে। তিনি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নেতা-কর্মীদের সব ধরনের প্রস্তুতি রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। নির্বাচনে জয়লাভের পূর্বশর্ত সংগঠনকে শক্তিশালী করা। সংগঠন শক্তিশালী হলে কোনো অপশক্তি ধারে কাছে আসতে পারবে না। জানা যায়, সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হতে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম, মহানগর নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক রুনু রেজা (রুনু ইকবাল বিথার) এবং সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। কিন্তু দলের মনোনয়ন বোর্ড সব দিক বিবেচনায় তালুকদার আবদুল খালেককে মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন দেয়। বঞ্চিতরা কেউ দলের এ সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী হচ্ছেন না। ইতোমধ্যে দলীয় নানা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচারণায় নেমেছেন খালেক। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেন, ‘খুলনার উন্নয়নে তালুকদার আবদুল খালেকের বিকল্প নেই। তার গ্রহণযোগ্যতা, দক্ষতা, জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে পর পর দুটি নির্বাচনেই সুফল ঘরে তুলতে চায় আওয়ামী লীগ। আমরা খুলনার উন্ন্নয়নে সিটি নির্বাচনের পাশাপাশি সংসদ নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে নগরবাসীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবাই কাজ করছেন।’ নির্বাচনের মাঠে বিএনপিকে প্রতিহত করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা বললেও তারা অন্য কাউকে সমর্থন দিয়ে মাঠে থাকতে পারে। সেদিকটিও ভেবে তারা প্রস্তুতি নিয়েছেন। বিগত দিনে বিএনপি খুলনার উন্নয়নে কী করেছে আর আওয়ামী লীগ কী করেছে বিচার করবেন ভোটাররা। মেয়র নির্বাচনে নগরবাসী কোনো ভুল করবেন না।