শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

পর্যটকে মুখর বলেশ্বর

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

পর্যটকে মুখর বলেশ্বর

ঈদের সরকারি ছুটি শেষ হলেও এখনো পর্যটকের পদচারণায় মুখর বাগেরহাটের শরণখোলার বলেশ্বর নদীতীরের রিভারভিউ পর্যটন কেন্দ্র। এখানে বলেশ্বর নদীর মোহনায় বঙ্গোপসাগরের জলরাশি, নৌভ্রমণ, নীল আকাশ, সূর্যাস্ত দেখাসহ সুন্দরবনের প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে এ পর্যটন কেন্দ্রটিতে প্রতিদিনই পর্যটকের ঢল নামছে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, ঈদের ছুটিতে কেন্দ্রটিতে ১ লাখ পর্যটকের সমাগম হয়েছে।

সুপার সাইক্লোন সিডরের মৃত্যুকূপ বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলাবাসীকে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সরকার বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বলেশ্বর নদীর তীরে কংক্রিটের ব্লক দিয়ে উঁচু করে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছে। ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ বলেশ্বর নদীর তীরে বরুইতলা থেকে চান্দ্রেশ্বর পর্যন্ত ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে উপজেলা প্রশাসন ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে কংক্রিটের ব্লকে দৃষ্টিনন্দন রং করে বেঞ্চ, দোলনা, বিচ খাট, ছাতাসহ নানা প্রকার বিনোদন সামগ্রী তৈরি করে পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে তোলে। পর্যটকরা এখানে পাচ্ছেন কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সৈকতের ছোঁয়া। এখান থেকে স্পিডবোটে ১০ মিনিটে সুন্দরবনে যাওয়া যাচ্ছে। পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনের জন্য রয়েছে ঘোড়ারগাড়ি, নৌযান ও স্পিডবোট। দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে রিভারভিউ পর্যটন কেন্দ্রটি ঘিরে তৈরি হয়েছে ইকো-প্যারাডাইস নামে আধুনিক রেস্টুরেন্ট ও রিসোর্ট। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটে পর্যটন কেন্দ্রটিতে। ঈদের ছুটি শেষ হলেও এখনো হাজার হাজার পর্যটক আসছেন এখানে। গতকাল বিকালে ঢাকা থেকে আসা শামীম হাসান ও রুমানা আহমেদ দম্পতি জানান, শরণখোলার বলেশ্বর রিভারভিউ পর্যটন কেন্দ্রটি দেখতে এলাম। দেশের নতুন এই পর্যটন কেন্দ্রটি বঙ্গোপসাগর মোহনায় বলেশ্বর নদীর ঢেউ, নৌভ্রমণ, নীল আকাশ, স্পিড বোটে করে সুন্দরবনের প্রকৃতি দেখলাম। এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে এসে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ছোঁয়া পেয়েছি। ছেলেমেয়েসহ পরিবারের সবাই খুবই আনন্দ করলাম। সূর্যাস্ত দেখে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে যাব। এমন অনুভূতির কথা জানালেন রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক রাকিব হোসেন ও ঝালকাঠি থেকে পরিবারসহ আসা কামাল আহমেদ সজিব। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, দেশের নতুন এই পর্যটন কেন্দ্রের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। এরই মধ্যে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল পরিমাণ পর্যটক আসছে। ঈদের ছুটির তিন দিনে ১ লাখেরও বেশি দর্শনার্থী এসেছেন। শিগগিরই মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ ও দৃষ্টিনন্দন পাবলিক টয়লেট করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর