বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিস্তা-ধরলার বালুচরে তরমুজ চাষ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

তিস্তা-ধরলার বালুচরে তরমুজ চাষ

লালমনিরহাটের তিস্তা ও ধরলার চরাঞ্চলের মানুষ দিন দিন ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন। বদলে যাচ্ছে তাদের জীবন যাত্রা। তিস্তা-ধরলার বুকে তরমুজ চাষ করে হাসি ফুটছে তাদের মুখে। পরিবারগুলোর মাঝে ফিরে এসেছে সচ্ছলতা। তিস্তা ও ধরলা নদী বিস্তীর্ণ ধু-ধু বালুচরে আধুনিক লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যাপক তরমুজের চাষ হয়েছে। তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। সরেজমিন দেখা যায়, জেলার তিস্তা নদীর বালুচরের বিভিন্ন এলাকায় ও আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে ধরলার চরে তরমুজের ব্যাপক চাষ হয়েছে। সীমান্তে নিজেদের উদ্যোগে ভারতীয় কৃষক ও বাংলাদেশি কৃষক যৌথভাবে তরমুজ চাষ করছে। কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় ও দুই দেশের সীমান্তবাসীর মধ্যে সুসম্পর্কের কারণে এভাবে বেশ কয়েক বছর ধরে তরমুজ চাষ হয়ে আসছে। যৌথ উদ্যোগের তরমুজ দুই দেশের কৃষক তাদের দেশের পৃথক পৃথক বাজারে বিক্রি করছে।

বিষয়টি বিজিবি ও বিএসএফের স্থানীয় ক্যাম্প কমান্ডাররা অবগত আছেন। স্থানীয় তরমুজচাষি আপেল মাহমুদ জানান, তিস্তা ও ধরলা নদীর বালুচরের তরমুজ অন্যান্য জেলার তরমুজের চেয়ে ভিতরে রং একটু বেশি লাল টকটকে ও বেশি মিষ্টি।

এই তরমুজ মৌসুমের শুরুতে আসায় বাজারে চাহিদা থাকায় বেশি দামও পাওয়া যায়। বন্যার সময় থই থই পানি আর শুকনো মৌসুমে পানির বদলে বিস্তীর্ণ এলাকায় থাকে বালু আর বালু। ঠিক এই বালুচরেই সোনা ফলাচ্ছেন তিস্তা-ধরলার কোলে বসবাসরত মানুষগুলো। ধান-পাটসহ অন্যান্য ফসল না ফললেও এবার দারুণ ফলন হয়েছে তরমুজের। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুমন মিয়া জানান, তরমুজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগ থেকে মাঠে কাজ এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এবার হাতীবান্ধা উপজেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান জানান, জেলায় তরমুজ চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি উৎপাদন বহুমুখীকরণের জন্য মাঠপর্যায়ে কাজ চলছে। যার একটি উদাহরণ তিস্তা ও ধরলার ধু-ধু বালুচরে তরমুজ চাষ।

সর্বশেষ খবর