রবিবার, ৭ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঘরোয়া বৈঠকে খালেক, মাঠে মধু

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

ঘরোয়া বৈঠকে খালেক, মাঠে মধু

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ১২ জুন। ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে প্রার্থীরা ততই ব্যস্ত হয়ে উঠছেন। এর মধ্যে নির্বাচন ঘিরে সাংগঠনিক তৎপরতায় মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। মহানগর সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বিভিন্ন সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে প্রতিদিনই ঘরোয়া বৈঠক করছেন। সেখানে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটির কার্যক্রম মনিটরিং করা হচ্ছে। অন্যদিকে সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার পর গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন জেলা জাপা সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু। এ সময় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনে অন্য মেয়র প্রার্থীরাও সমর্থকদের সঙ্গে নির্বাচনী কৌশল নিয়ে আলোচনা করছেন।

জানা যায়, সিটি নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও নির্বাচন পরিচালনায় সর্বোচ্চ সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কেন্দ্রভিত্তিক কমিটির কার্যক্রম মনিটরিং ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে নির্দেশনা দিচ্ছে।

মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই। তাই আবারও এ সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে হবে এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। ভোটাধিকার প্রয়োগ প্রত্যেক ভোটারের জন্য অবশ্যপালনীয় কর্তব্য হিসেবে উল্লেখ করে তিনি প্রত্যেক ভোটারকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদানের আহ্বান জানান।

অন্যদিকে গতকাল জাতীয় যুব সংহতি খুলনা জেলা সম্মেলন উদ্বোধন করেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ও জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়। এর আগে ৫ মে মধু দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে খুলনায় ফেরার পথে গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ নিয়ে তৃণমূলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হলে মধু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের একার নন, তিনি ১৮ কোটি মানুষের সম্পদ। মনোনয়ন পাওয়ার পরই আমি সিদ্ধান্ত নিই তাঁর মাজার জিয়ারত করে কাজ শুরু করব। এটাকে ভিন্ন চোখে দেখা উচিত হবে না।’

তিনি বলেন, ‘বিগত দিনে আমি খুলনা-৬ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। সে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সরকারের উচিত সে অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।’ এর আগে ২০১৩ সালে মধু মেয়র পদে নির্বাচন করে ৩ হাজার ৭৬ ভোট পেয়েছিলেন।

 

সর্বশেষ খবর