রবিবার, ৭ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

এক চক্রই অপহরণ করে পাঁচ শতাধিক শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক

অপহরণকারী চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চক্রটি স্কুল, মার্কেট, কোচিং কিংবা মাদরাসার সামনে ওত পেতে সখ্য তৈরি করে শিশুদের অপহরণ করত বলে জানা গেছে। গ্রেফতার হওয়া চক্রের সদস্যরা হলেন- মিল্টন মাসুদ, শাহীনুর রহমান ও সুফিয়া বেগম। তাদের মধ্যে মিল্টন চক্রের হোতা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে গতকাল দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোর্শেদ আলম।

তিনি বলেন, গত ২৪ মার্চ রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের হলি ল্যাবের সামনে থেকে শাহিন শেখ নামে ছয় বছরের এক শিশু হারিয়ে গেলে এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয় উত্তরা পূর্ব থানায়। তদন্তের সূত্র ধরে অপহরণকারী চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। উত্তরা এয়ারপোর্ট জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে উত্তরা পূর্ব থানার একটি টিম তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের শনাক্তের পর অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এরা দীর্ঘদিন ধরে স্কুল, বাজার, রেস্তোরাঁসহ নানা জায়গায় একা থাকা ও মা-বাবার সঙ্গে ঘুরতে থাকা শিশুদের টার্গেট করে কৌশলে অপহরণ করে। এরপর তাদের পরিবারের কাছ থেকে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। চক্রের হোতা মিল্টন ও তার সহযোগী শাহীনুর ছয় থেকে সাত বছর ধরে ৫০০-৬০০ শিশুকে অপহরণ এবং তাদের আত্মীয়দের কাছ থেকে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ আদায় করেছেন। টার্গেট করা শিশুকে তার মা-বাবার বন্ধু কিংবা ব্যবসায়িক পার্টনার পরিচয়ে কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মা-বাবার আর্থিক অবস্থা কৌশলে জেনে নিতেন চক্রের সদস্যরা। এরপর শিশুর মা-বাবা টাকা পাবেন বলে কল করতে বলা হতো তাদের কাছে। সেই কৌশলে নম্বর নিয়ে শিশুটির মা-বাবাকে ফোন করে সন্তান অপহরণ হয়েছে জানিয়ে টাকা দাবি করতেন তারা। ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, বাবা-মা ভয়ে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা দিতেন অপহরণকারীদের। টাকা দেওয়ার কিছু সময় পর দেখা যেত অপহৃত শিশুটি বাসায় ফিরে এসেছে। গ্রেফতার মিল্টন মাসুদের নামে পাঁচটি এবং শাহীনুর রহমানের নামে তিনটি মামলা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর