মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
খুলনা

মূল্যায়নে আওয়ামী লীগ জাপা তিন দিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

মূল্যায়নে আওয়ামী লীগ জাপা তিন দিকে

খুলনা সিটি নির্বাচনকে ভোট উৎসবে পরিণত করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিটি ওয়ার্ডে কঠোর নজরদারিসহ ভোটারদের উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে আনতে উদ্বুদ্ধ করতে বলা হয়। অপরদিকে খুলনা সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সাবেক ও বর্তমান তিন নেতা মেয়র পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত সাবেক সংসদ সদস্য গফ্ফার বিশ্বাস মনোনয়নপত্র জমা দেননি। ভোটের মাঠে তিন নেতার পাল্টাপাল্টি মন্তব্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী খুলনা সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আজ ১৬ মে, প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৫ মে ও ভোটগ্রহণ ১২ জুন। জানা যায়, সিটি নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি সার্বিক প্রচারণার মূল্যায়ন শুরু করেছে। গতকাল দলীয় কার্যালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজেদের ভোট চাইবেন। ওয়ার্ডে নিজেদের একাধিক প্রার্থী থাকলে যে যার ভোট চাইবেন, কিন্তু কাদা ছোড়াছুড়ি করবেন না। দলের প্রতি আনুগত্য রেখে মেয়রের নৌকা প্রতীকসহ যার যার প্রতীকে ভোট চাইবেন। কাদা ছোড়াছুড়ি করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি থানা নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। একই সঙ্গে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনার সব তৎপরতা চালাতে হবে। এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। সভায় বলা হয়, ওয়ার্ডে একাধিক দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী থাকলে সেখানে মেয়র নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আলাদা হবে। তবে কেউ দুই কমিটিতে অর্থাৎ মেয়র ও কাউন্সিলর কমিটিতে থাকতে পারবেন না। অপরদিকে মনোনয়নপত্র কিনলেও শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়িয়েছেন জাপার সাবেক সংসদ সদস্য আ. গফ্ফার বিশ্বাস। তিনি গতকাল খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ আমাকে সিটি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে অনুরোধ করেছেন।

তাঁর নির্দেশনায় নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ সময় তিনি ১৯৯৪, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে সিটি নির্বাচনে জাপা প্রার্থীদের ভোটপ্রাপ্তির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, ১৯৯৪ সালে জাপা মেয়র প্রার্থী ৪২ হাজার ভোট পেলেও ২০১৩ সালে ৩ হাজার ৩৩ ভোট ও ২০১৮ সালে ১ হাজার ৭২ ভোট পায়। সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হচ্ছে। এদিকে গফ্ফার বিশ্বাসকে উদ্দেশ করে দলের মনোনীত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু জানান, তিনি আমার বড় ভাই। তাঁকে মনোনয়ন দিলে আমি তাঁর কাছে যেতাম। জাপা একটা বড় দল, এখানে অনেক কিছুই হতে পারে। তারপরও আমরা বিরোধী দল হিসেবে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছি।

অন্যদিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও সাবেক জাপা নেতা শফিকুর রহমান মুশফিক বলেন, জাতীয় পার্টিকে মানুষ এখন বিশ্বাস করে না। এই পার্টিকে মানুষ ভোট দিতে চায় না। এ কারণে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। মানুষ চায় একটা সোচ্চার প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। এই শহরের মানুষ ভালো নেই। এ কথাগুলো মানুষ আমার কাছ থেকে পাচ্ছে, এ কারণেই তারা আমাকেই ভোট দেবেন।

সর্বশেষ খবর