মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভৈরবে মা ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মা-ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন- ইতালি প্রবাসী মো. ফরহাদ মিয়ার স্ত্রী জোনাকী বেগম (২৫) ও তার তিন বছর বয়সী ছেলে আলিফ।

গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার সম্ভুপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের স্বজনদের দাবি শাশুড়ির মানসিক নির্যাতনে জোনাকী বেগম সন্তানসহ আত্মহত্যা করেছেন।

জানা গেছে, ভৈরবের সম্ভুপুর এলাকার ফরহাদ মিয়া, তার পিতা ও ভাইসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে থাকেন। ছয় বছর আগে উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকার জোনাকী বেগমকে বিয়ে করেন ফরহাদ। তাদের সংসারে তিন বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামী ফরহাদ ইতালিতে থাকলেও স্ত্রী শাশুড়ির সঙ্গে বসবাস করতেন। আগামী কোরবানির ঈদের পর মা বেবী বেগম, স্ত্রী জোনাকী ও ছেলে আলিফকে ইতালি নেওয়ার কথা ছিল। স্বামীর পাঠানো টাকা-পয়সা, গহনা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রায়দিনই শাশুড়ি বেবী বেগমের সঙ্গে ঝগড়া হতো বলে জোনাকীর মায়ের দাবি।

প্রতিবেশীরা জানায়, ফরহাদ মিয়া এর আগেও একটি বিয়ে করেছিলেন। শাশুড়ির নির্যাতনে বিয়ের কিছুদিন পরই সে স্ত্রী চলে যান। প্রতিবেশী ও স্বজনদের ধারণা জোনাকী প্রথমে তার সন্তানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে পরে নিজেও ফাঁসিতে ঝোলেন। শাশুড়ি ঘটনা দেখে প্রতিবেশীদের সহায়তায় দুজনকে রশি থেকে নামিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে জোনাকীর বাবার বাড়ির লোকজন হাসপাতালে গিয়ে লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় শাশুড়ি বেবী বেগম ও তার লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।

জোনাকী বেগমের মা ছালেহা বেগমের অভিযোগ, শাশুড়ি বেবী বেগমের মানসিক নির্যাতনে আমার মেয়ে তার সন্তানসহ এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। নিহতের বড় বোন ঝরনা বেগমের দাবি, ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আল আমিন হোসাইন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। পারিবারিক কলহের কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলেও ধারণা পুলিশের।

 

সর্বশেষ খবর