শিরোনাম
বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
সিটি নির্বাচন

মনোনয়নপত্র জমা ১০ মেয়র প্রার্থীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে গতকাল ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, বিএনপির প্রয়াত সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে কামরুল আহসান রূপনসহ ছয়জন মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ নিয়ে এবার মেয়র পদে ১০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৮৮ জন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ফয়জুল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপন সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। ফয়জুল করীম সাংবাদিকদের বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। এক প্রার্থীর ছবি ও মার্কাসহ লিফলেট দেওয়া হচ্ছে। অন্যদের বিরুদ্ধে বিমাতাসুলভ আচরণ করছে কমিশন। স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন সাংবাদিকদের বলেন, নগরীতে দুই দিন ধরে হামলা-মারামারি হচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের মোটরসাইকেল মহড়ায় মানুষ আতঙ্কিত। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর গণসংযোগ ও প্রচারণা চলছে তিন স্তরে। নৌকা প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আফজালুল করিম বলেন, আমরা তিন স্তরে গণসংযোগ করছি। প্রার্থী বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করছেন, সামাজিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। তার স্ত্রী লুনা আবদুল্লাহ প্রতিদিন অন্তত দুটি গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন।

প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে আমিও বিভিন্ন ওয়ার্ডে যাচ্ছি। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কবে নামবে জানতে চাইলে আফজাল বলেন, এর আগে জেলা পরিষদে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার এবং বর্তমান মেয়র দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে বর্ধিত সভা করে দলীয়ভাবে প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমে কাজ করেছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে এবার মনোনয়ন ঘোষণার এক মাস হয়ে গেলেও প্রার্থীর পক্ষে জোরালো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। যারা বর্ধিত সভার ধুয়ো তুলছেন তারা বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। আফজাল আরও বলেন, গত চার বছরে প্রধানমন্ত্রী বরিশালে অর্থ বরাদ্দ দেননি যোগ্য লোকের অভাবে। যোগ্য লোক হিসেবে খোকন সেরনিয়াবাতকে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার হাত ধরে নতুন বরিশাল বিনির্মাণ হবে।

প্রচারণায় বিধি-নিষেধ থাকায় মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, সাবেক জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বাসায় যাচ্ছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। তার স্ত্রী ইসমত আরা ইকবালও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভোট চাইছেন। তিনিও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর একচ্ছত্র আধিপত্য চলছে। তিনি কোনো আইনকানুনের তোয়াক্কা করেন না। সোমবারও তিনি অফিস উদ্বোধন করেছেন। একের পর এক অফিস উদ্বোধন করে যাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন সেগুলো দেখে না।

গতকাল রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বিসিসিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন ও জাকের পার্টি দলীয়ভাবে এবং ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪২ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ১৮ মে বাছাই, ২৫ মে পর্যন্ত প্রত্যাহার, ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দ এবং ভোট গ্রহণ ১২ জুন।

সর্বশেষ খবর