গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আর মাত্র পাঁচ দিন পর। প্রচারণা সময়সীমার শেষ প্রান্তে এসে প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা চুলচেরা বিশ্লেষণ ও হিসাবনিকাশ কষে ভোটারদের কাছে হন্যে হয়ে ছুটছেন। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ নানাভাবে গণসংযোগে ব্যস্ত ছিলেন তারা। এ নির্বাচনের মূল ফ্যাক্টর ভাসমান ভোটারদের সমর্থন ও ভোট আদায়ের চেষ্টা করছেন প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা।
আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান টঙ্গী বাজার, মধুমিতা মেগা সিটি, জামাই বাজার, পাগাড় ফকির মার্কেট, ঝিনু মার্কেট, গোপালপুর, মরকুন, শিলমুন, তিস্তার গেট, বনমালা, দত্তপাড়া, এরশাদনগর, টেকপাড়া, শিকদার মার্কেট, গাজীপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। তিনি টঙ্গী বাজার বড় মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরাও প্রচারে অংশ নেন। আজমত উল্লা খান গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘২৫ তারিখে ভোট হবে সম্পূর্ণ সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ।’ জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন গণসংযোগ করেন মিরের বাজার, বসুগাঁও, টঙ্গীসহ বিভিন্ন এলাকায়। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য সুন্দর পরিবেশ এখন পর্যন্ত বিরাজমান।’ স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম রনি হায়দরাবাদ, মাজুখান, হারবাইদ, বিন্দানও পুবাইল এলাকায় গণসংযোগ করেন। শাহনূর বলেন, সাধারণ মানুষের ব্যাপক জনসমর্থন পাচ্ছেন তিনি। ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মাওলানা গাজী আতাউর রহমান সালনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে গণসংযোগ করেন। পরে তিনি মহিষানবাড়ী, মিরেরগাঁও, কারখানা বাজার, জোলার পাড়, কাউলতিয়া, পোড়াবাড়ি, মাস্টারবাড়ী, ভিমবাজার, বাংলাবাজার, গজারিয়া পাড়া ও হাতিয়াব এলাকায় গণসংযোগ করেন। গাজী আতাউর বলেন, ‘আমি মেয়র নির্বাচিত হলে প্রতি সপ্তাহে জনগণের মুখোমুখি হব।’ পুলিশের নিষেধাজ্ঞা : নির্বাচন উপলক্ষে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৪ মে দিবাগত রাত থেকে ২৫ মে দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ভারী যানবাহন এবং ২৩ মে রাত থেকে ২৬ মে সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পুলিশ। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।