স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম রনি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ শঙ্কা ব্যক্ত করেন। রনি সরকার অভিযোগ করে বলেন, গাজীপুরে নির্বাচন নয়, চর দখলের মতো মেয়রের চেয়ার দখলের নানা আয়োজন চলছে। গাসিকের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মেয়রের চেয়ার নিয়ে টানাটানি চলছে মন্তব্য করেন তিনি। রনি বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, বিএনপি বা বিরোধী দলগুলো যে অভিযোগ করে আসছিল আমি এখন এর প্রমাণ পাচ্ছি।’ নির্বাচন কমিশন শুধুই কথার ফুলঝুরি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি বলেন, ‘মাত্র ১০ বছর বয়সী এ সিটি করপোরেশনের গত দুটি পরিষদ কীভাবে দায়িত্ব পালন করেছে তা সবাই অবগত আছেন। গাসিকের প্রথম নির্বাচনে সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক এম এ মান্নানকে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত করেছিলেন নগরবাসী। কিন্তু জনরায়কে অসম্মান করে ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মিথ্যা মামলায় তাঁকে দীর্ঘদিন কারান্তরালে রেখে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়। ফলে উন্নয়নবঞ্চিত হন গাজীপুরবাসী।’ রনি বলেন, ‘হাতি প্রতীকের এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনের পর আমাদের লোকজনদের দেখে নেবেন নৌকার লোকজন। এতে আমার অনেক কর্মী ভয়ে ভয়ে চলছেন। তারা কেন্দ্রে এজেন্ট হতে চাইছেন না। ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চাচ্ছি। আমি আশা করছি নির্বাচন কমিশন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবে। তারা সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি করবে।’
নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা : গাজীপুরকে পরিচ্ছন্ন সবুজ নগরী গড়ার প্রত্যয়ে ১৯ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন সরকার শাহনূর ইসলাম রনি। টঙ্গী স্টেশন রোডের বাসভবনে গতকাল তিনি এ ইশতেশার ঘোষণা করেন। রনি বলেন, নির্বাচিত হলে দুর্নীতি ও হিংসা-বিদ্বেষমুক্ত নগরী গড়ে তোলা হবে। সব নাগরিকের সেবা সহজ ও জনবান্ধব করার পাশাপাশি শিল্পবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা হবে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত স্কুল-কলেজ গড়ে তোলা হবে, খেলার মাঠ নির্মাণ ও উন্নয়ন করা হবে। সহনীয় ট্যাক্স নির্ধারণ করা হবে।