গোমতীর চরজুড়ে এখন তিলের উৎসব। তিলের সাদা ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মৌমাছির দল। কিছু জমির তিল ফসল পরিপক্ব হওয়ায় কেটে ঘরে তুলেছেন কৃষক। ভালো ফসল পেয়ে খুশি তারা। কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকার গোমতীর চরজুড়ে চলছে এ উৎসব।
পালপাড়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, গোমতীর চরে আমার কিছু জমি পতিত পড়ে ছিল। এখানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে বিনা তিল-২ চাষ করেছি। ৩৩ শতক জমিতে তিলের চাষ হয়েছে। ভালো ফলন পেয়েছি। বিনা কুমিল্লা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. আশিকুর রহমান বলেন, তিলের পুষ্টিগুণ অনেক। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রান্নায় ও বেকারি সামগ্রীতে এ তিল ব্যবহার করা হয়। বিনা তিল-২ উচ্চ ফলনশীল জাত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপপরিচালক কৃষিবিদ মিজানুর রহমান বলেন, গোমতীর চরে বিনা তিল-২ চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। কুমিল্লায় এবার ২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে তিলের আবাদ হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে তিন বছরে চাষের পরিমাণ দ্বিগুণ করা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোহিত কুমার দে বলেন, বিনা তিল-২-এর দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। এক- তিল চাষে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। দুই- চরের পতিত জমি চাষের আওতায় আসছে। এদিকে গতকাল ওই এলাকায় তিল চাষ নিয়ে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার অতিরিক্ত পরিচালক মোহিত কুমার দে, উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিনা কুমিল্লা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. আশিকুর রহমান।
