শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিন বন্ধুকে হত্যা মুক্তিপণ না পেয়ে দুজন গ্রেফতার

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে দুর্গম পাহাড়ে অপহরণের শিকার তিন বন্ধুকে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে হত্যা করা হয়। লাশ তিনটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টাও করা হয়। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে গতকাল র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন এ তথ্য জানিয়েছেন।

টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অপহরণের শিকার তিন ব্যক্তির    লাশ বুধবার সন্ধ্যায় উদ্ধার এবং অপহরণ চক্রের মূলহোতাসহ দুজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১৫। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, টেকনাফের মোচনী ক্যাম্পের আবু সামাদের ছেলে সৈয়দ হোসেন প্রকাশ সোনালী ডাকাত, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিলের মৃত আবদুল করিমের ছেলে এমরুল করিম প্রকাশ ফইরা। এ নিয়ে এ ঘটনায় চারজন গ্রেফতার হলো। এর আগে পুলিশ মোচনী ক্যাম্পের আবু তাহেরের ছেলে শফি আলম বেলাল, শফির ভাগিনা এবং একই ক্যাম্পের আবদুল মতলবের ছেলে আরাফাতকে গ্রেফতার করে। র‌্যাবের দাবি গ্রেফতার সোনালী ডাকাত অপহরণ ও হত্যার মূলহোতা।

র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক সাইফুল ইসলাম সুমন কক্সবাজারে তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানান, পাত্রী দেখতে গিয়ে ২৮ এপ্রিল অপহরণের শিকার হন কক্সবাজার চৌফলদ-ী উত্তরপাড়ার মোহাম্মদ আলমের ছেলে জমির হোসেন রুবেল, তার দুই বন্ধু ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউছুপ ও কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান। পর দিন রুবেলের মোবাইল ফোন থেকে অপহরণকারীরা তার পরিবারের কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরিবারকে ভয় দেখাতে নিযার্তনের একটি ভিডিও তাদের কাছে প্রেরণ করা হয়।

র‌্যাব অধিনায়ক জানান, নির্যাতনের ফুটেজ দেখে অপহরণকারী চক্রের একজনকে শনাক্ত করা হয়। বুধবার টেকনাফ হাবিরছড়া দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণ চক্রের মূলহোতা সোনালী ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। সোনালী র‌্যাবকে জানায়, অপহৃতদের গুলি করে হত্যা করার পর পাহাড়ের ওপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়। লাশ তিনটি আগুনে পুড়ে আলামত ধ্বংস করারও চেষ্টা করা হয়। উদ্ধার মরদেহ অপহৃত রুবেল, ইমরান এবং ইউসুফের, জানিয়েছেন সোনালী ডাকাত। এ ব্যাপারে ১৩ মে টেকনাফ থানায় মামলা করেন রুবেলের বাবা।

টেকনাফের ওসি মো. আবদুল হালিম জানান, কহিনূর নামে এক মেয়েকে দেখার টোপ দিয়ে রুবেলকে সেখানে নেওয়া হয়। রুবেলের সঙ্গে অপর ২ জন আসেন।

র‌্যাব ১৫ অধিনায়ক জানান, মরদেহ শনাক্ত করার কোন সুযোগ নেই। ডিএনএ পরীক্ষার পর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে। পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

সর্বশেষ খবর